মো: জুয়েল রানা, তিতাস প্রতিনিধি: কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর হাট চান্দিনা এলাকার মালিহা নামের এক মেয়ে তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের প্রেমিক শ্রাবণ সরকারের সাথে পলায়ন করেছেন বলে জানা গেছে। শ্রাবণ মাছিমপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন সরকারের ছেলে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় মেয়ে মালিহা পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা মোয়াজ্জেম বাদি হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রেমিক শ্রাবণ ও তার বাবা-মা সহ ৫জনকে জড়ানো হয়েছে। এতে গ্রেফতার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন প্রেমিক শ্রাবণ সরকারের পরিবার।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেমিক শ্রাবণ সরকারের বাবা ইসমাইল হোসেন সরকার সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলের সাথে মালিহার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো তা আমি আগে জানতাম না, গত ১৬ সেপ্টেম্বর পালিয়ে যাওয়ার পর ঘটনাটি জানতে পেরেছি। এছাড়া তারা দুইজন গত ২৭ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখে কুমিল্লা কোর্টে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে তাও জানি না। কিন্তুু মালিহার পরিবার সে অজুহাতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর একটি অপহরণ মামলা করে আমাকে এবং আমার স্ত্রীসহ ৪জনকে মামলাতে জড়িয়েছে। এবং বাদি পক্ষের লোকজন আমাদেরকে বার বার বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে হয়রানি করছে। এখন আমরা গ্রেফতার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মেয়ের পরিবার ও আমার পরিবার উভয়ই দুই পরিবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে আমাদের বাড়িতে সমাধানের লক্ষ্যে বসেন। এতে মেয়ের বাবার প্রস্তাব মতে উপস্থিত বিচারকরা মেয়েকে তার পরিবারের কাছে দিয়ে দেয়ার জন্য রাজি হোন এবং ছেলেসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেন। কিন্তু মেয়ের বাবা মামলাটির বিষয়ে সমাধান না করে পরে জানাবে বলে মেয়ে না নিয়ে চলে যান। এতে আমরা এখন হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া মালিহা ও প্রেমিক শ্রাবণ দুই জনই শান্তিতে পরম সুখে থেকে বসবাস করছেন। এ বিষয়ে মালিহা ও শ্রাবণের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে আমরা ইসলামীর শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখে আছি।
এদিকে প্রেমিকা মালিহা বলেন, আমাকে কেউ প্ররোচনা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়নি। আমি নিজের ইচ্ছায় শ্রাবণকে ভালোবেসে বিবাহ করতে তার হাত ধরে চলে আসছি। এখন শুনছি আমার বিবাহের ঘটনা নিয়ে আমার বাবা মামলা মোকাদ্দামা দিয়ে আমার শশুর-শাশুড়িসহ আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি করছে। আমাদেরকে পেলে মেরে ফেলবে। তাই আমি দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি দয়ে করে আপনারা আমার শশুর-শাশুড়িসহ অন্যান্য লোকজনকে হয়রানি না করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।