অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ঢাকা রেলওয়ে জেলার নেতৃত্বে ঢাকা রেলওয়ে জেলার ডিবি ও ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানা পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিগত এক সপ্তাহব্যাপী ময়মনসিংহ শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে গত ১৮/৯/২০২৪ তারিখে জারিয়া লোকাল ট্রেনে সংগঠিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ০১। রাশেদ (২২), পিতা-কোরবান আলী, সাং-মুক্তিযোদ্ধা আবাসন বলাশপুর, থানা- কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনিসংহ, ০২। আকাশ মিয়া (২৫), পিতা-আবুল কাশেম, মাতা-আমেনা খাতুন, সাং-ভাটিকাশর বড়বাড়ী, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ. ০৩। মোঃ ইমন (২২), পিতা- রবি, মাতা- লিল্পী, সাং-চরকালীবাড়ী, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ, ০৪। মোঃ হৃদয় (২০), পিতা-বাবুল মিয়া, মাতা-নাছিমা, সাং-কটা বাজার, থানা-ফুলপুর, জেলা-ময়মনসিংহ, এপি/ সাং-মুক্তিযোদ্ধা আবাসন, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহদেরকে গতকাল গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের নিকট থেকে দেশীয় চাকু, খুড়, স্টেপ গিয়ার চাকু, ফোল্ডিং চাকু উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে ময়মনসিংহ এর বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে লুন্ঠিত ও বিক্রয় করা তিনটি মোবাইলও ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়। ঐদিন ভোরবেলা ডাকাত দল ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের ০৮নং প্লাটফম হতে ট্রেন ছাড়ার প্রাক্কালে সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র গুলো কাপড়ে মুড়িয়ে বিশেষ কৌশলে যাত্রী বেশে চলন্ত ট্রেনের বগিতে উঠে।
এর ৪/৫ মিনিট পর সাথে থাকা অস্ত্র দিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে তাদের এই আপনাদের এই কাজটা করতে গিয়ে কিন্তু মানে আমাদের মোবাইল এবং টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে চলন্ত ট্রেনে থেকে নেমে যায়। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাদিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ডাকাত গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। জারিয়া লোকাল ট্রেনে ডাকাতি প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদার বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত রেলওয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।