ওমর ফারুক, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: আত্রাই-নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের রাণীনগর থেকে আত্রাই হয়ে নাটোর পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্ত করা অতীব জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী। সড়কটি প্রশস্ত না হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে এ সড়কে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানিও ঘটছে অহরহ।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের মাঝামাঝি সময় এলাকাবাসীর যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক এ মহাসড়কটি নির্মাণ করা হয়। এ সড়ক নির্মাণ হওয়ার ফলে নওগাঁর রাণীনগর, আত্রাই, রাজশাহীর বাগমারা, নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গাসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জনসাধারণের যোগাযোগের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
এদিকে এ সড়কের নওগাঁ থেকে রাণীনগর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক ৩৪ ফুট প্রশস্ত করা হলেও রাণীনগর থেকে নলডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার সড়ক মাত্র ১৮ ফুট প্রসস্ত রয়েছে। আঞ্চলিক এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, ঢাকাগামী কোচসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। রাণীনগর থেকে নলডাঙ্গা পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্ত কম হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
এসব দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণহানিও ঘটেছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর দাবি রাণীনগর থেকে নলডাঙ্গা পর্যন্ত নওগাঁ থেকে রাণীনগরের মত প্রশস্ত করা হোক।এদিকে নলডাঙ্গা থেকে নাটোর পর্যন্ত এ সড়কটি যথেষ্ট আঁকাবাঁকা।
নওগাঁ থেকে নলডাঙ্গা পর্যন্ত আঞ্চলিক এ মহাসড়কটি সোজা হলেও নলডাঙ্গা থেকে নাটোর পর্যন্ত মাত্র ১২ কিলোমিটার সড়কটি বিভিন্ন গ্রামের মধ্যদিয়ে আঁকাবাঁকা হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
এলাকাবাসীর দাবি, নলডাঙ্গা থেকে নাটোর পর্যন্ত রেল লাইনের পাশ দিয়ে এ সড়কটি সোজা নির্মাণ করা হোক। আত্রাইয়ের স্থানীয় যুবদল নেতা খোরশেদ আলম বলেন, এ সড়কটি বিগত বিএনপির আমলেই শুরু করা হয়েছিল।
সড়কটি প্রশস্ত কম হওয়ায় আমাদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক সময় কোন যানবাহনকে সাইড দিতে গিয়ে আরেক যানবাহন খাদে পড়ে যায়। এতে অনেক সময় হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
আত্রাই-নাটোর রুটের সিএনজি চালক পিন্টু বলেন, নলডাঙ্গা থেকে নাটোর পর্যন্ত সড়কটি আঁকাবাঁকা হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা যানবাহন চালাই। সেখানেও অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুল হক বলেন, নওগাঁ থেকে রাণীনগর পর্যন্ত একটি পৃথক প্রকল্প আর রাণীনগর থেকে নলডাঙ্গা পর্যন্ত আরেকটি প্রকল্প। এ ছাড়াও নলডাঙ্গা থেকে নাটোর পর্যন্ত সড়কটি রেল লাইনের পাশ দিয়ে সোজা নির্মাণ করা প্রয়োজন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে সড়কটি প্রশস্ত করার প্রকল্প প্রস্তুত করা যাবে।