গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গৌরীপুরের গোবিন্দ জিউর মন্দির আঙ্গিনায় নির্মাণাধীন মধ্যবাজার মন্ডপের শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাস্থল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পরিদর্শন করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দল।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন পরিচালক সুস্মিতা পাইক ও সহকারী পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. মোজাফফর হোসেন। পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ, গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মির্জা মাযহারুল আনোয়ার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহফুজ ইবনে আইয়ুব, উপজেলা পূজা উদযান কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন সরকার, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর, মন্দির সম্পাদক কাঞ্চন হোম রায়, মধ্যবাজার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রঞ্জিত চন্দ্র সাহা, গোবিন্দ জিউর মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন এষ, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার দাস, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নূরুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।
তদন্তদল প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, হিন্দু কমিউনিটি, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে পৌর শহরের গোবিন্দ জিউর মন্দির প্রঙ্গনে নির্মানাধীন মধ্যবাজার মন্ডপের দুর্গোৎসবের দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইয়াসিন মিয়া (১৭) নামক একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের গজন্দর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। পরিবারের দাবি ইয়াসিন প্রতিবন্ধী। সে সমাজসেবা দপ্তর থেকে প্রতিবন্ধী ভাতাও পাচ্ছে।
প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়ে ওইদিনেই ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মো. আজিজুল ইসলাম, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার সামুজ্জামান, গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ ও গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মির্জা মাযহারুল আনোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মো. মাযহারুল আনোয়ার বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতি রঞ্জিত চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গ্রেফতারকৃত ইয়াসিনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মন্দির ও মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
গৌরীপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন সরকার বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির এবং মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানাচ্ছি।