হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ সাহিনুর ইসলাম নামে একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বিজিবি।
মঙ্গলবার দুপুরে আটককৃত সাহিনুর ইসলামকে লালমনিরহাট আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার ফকিড়পাড়া বুড়া সারডুবি স্বর্বেস্বরের বাড়ি নিরালা হরি মন্দির এলাকা থেকে সাহিনুর ইসলামকে আটক করে বিজিবি।
আটককৃত সাহিনুর ইসলাম উপজেলার ফকিড়পাড়া বুড়া সারডুবি এলাকার মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গত ০৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরপরেই সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উপজেলার ফকিড়পাড়া বুড়া সারডুবি এলাকায় ১৫টি সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও প্রতিমা ভাংচুর করেন দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় গত পরশু দিন আনারুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। আর এতে আরও বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার রাতে আবারও মন্দিরে হামলা ও ভাচুর করেন দূর্বৃত্তরা। এ সময় সাহিনুর ইসলামকে আটক করে পুলিশে হাতে তুলে দেয় বিজিবি।
এ বিষয়ে ফকিড়পাড়া বুড়া সারডুবি স্বর্বেস্বরের বাড়ি নিরালা হরি মন্দিরের সভাপতি স্বপন কুমার রায় বলেন, গত ০৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। ওই রাতেই আমাদের ১৫টি বাড়িতে ও মন্দিরে হামলা, লুটপাট, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় আনারুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। আর এতে আরও বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার রাতে আবারও মন্দিরে হামলা করে প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, গত ০৫ আগস্টে হিন্দুদের বাড়ি ঘর ভাংচুরেরধ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়। সে ঘটনায় গত কাল রাতে আবারও হিন্দুদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করেন। এ সময় বিজিবির টহল টিম সাহিনুর ইসলামকে আটক করে আমাদের নিকট সোপর্দ করেন। গত ০৫ আগস্টের মামলায় সাহিনুর ইসলামকে লালমনিরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।