মোঃ ইয়াকুব আলী, চৌগাছা(যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় আমন ধানের খেতে মাজরা পোকার আক্রমণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। কীটনাশক প্রয়োগেও কোন রকম পোকা দমন হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর উপজেলায় হাইব্রিড- ধানীগোল্ড, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১, ব্রি-৭৫, ব্রি-৮৭, স্বর্ণ, প্রতিক ও রড-মিনিকেট জাতের আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৮শ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে। তবে অতি বৃষ্টিতে কোন কোন এলাকায় তুলনা মুলক নীচু জমির ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার হাকিমপুর,পাতিবিলা নারায়নপুর, স্বরুপপদাহ, সুখপুকুরিয়া, ধুলিয়ানী,পাশাপোল, সিংহঝুলী, ইউনিয়নসহ বিস্তৃর্ণ মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কিছু আগাম জাতের আমন ধানে থোড় বের হয়েছে। এখন কেউ ধান খেতে কীটনাশক, কেউবা সার ছিটাচ্ছেন। কেউ ব্যস্ত আগাছা পরিষ্কার করছেন।
উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের অহেদ আলী বলেন,এখনো ধানের গাছ থোড় পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিবছর তিনবার বালা ইনাশক ছিটালেই আর প্রয়োজন পড়ে না। বেশি হলে কখনো চারবার দিতে হয়েছে। এবার গাছে এখনো শিষ বের হয়নি। এরই মধ্যে তিনবার বালাইনাশক দিতে হয়ে ছে।
আরও অন্তত তিনবার না দিলে এবার ধান ঘরে তুলতে পারব না। পোকার ধরণ পাল্টে গেছে। স্প্রে করলেও মাজরা পোকার আক্রমণ বন্ধ হচ্ছে না।
নারায়নপুর ইউনিয়নের পেটভরা গ্রামের আব্দুল মাজিদ বলেন, মাত্র ধানের থোড় বের হচ্ছে।এই মুহূর্তে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এর প্রতিকার না করা গেলে আমন ধানের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে।
কয়ারপাড়া গ্রামের আইনাল হোসেন বলেন, প্রতিবছর বর্গাচাষ, পরিচর্যা, সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। তার ওপর পোকার আক্রমণ দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
পৌরসভার কৃষক ইব্রাহিম বলেন, আবাদের শেষ সময়ে হঠাৎ ধান ক্ষেতে পঁচা রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আমাদের মাঠে আমন ক্ষেতে কয়েকবার স্প্রে করছি। এতেও মাজরা পোকা দমন হচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন বলেন, অতিবৃষ্টিতে ডুবে বীজতলা ও আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পোকা দমনে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে কৃষি উপসহকারীরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুক‚ল ও রোগবালাই থেকে ফসল রক্ষা করা গেলে এবারও ধানের বা¤পার ফলন হবে।