ঢাকা
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১১:৩৮
logo
প্রকাশিত : অক্টোবর ৬, ২০২৪

বন্যায় শেরপুরে ৭ জনের মৃত্যু, প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম

শেরপুর প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলায় বৃদ্ধ ও নারীসহ ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) নতুন করে সদর ও নকলা উপজেলার ৪ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীসহ জেলায় আমন আবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ভেসে গেছে ২ হাজারেরও বেশি পুকুর ও মৎস্য খামার। এতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জেলার কৃষকরা। এ ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নেবেন তা নিয়ে তাদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, পানি পুরোপুরি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হবে।

জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের পানি কিছুটা নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন আবাদ, মাছের ঘের ও সবজি আবাদ। এদিকে পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলায় বৃদ্ধ ও নারীসহ ৭জনের মৃত্যু হয়েছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলাসহ জেলার অন্তত ৩৬ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ১ হাজার হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ২ হাজারেরও বেশি। এতে মাথায় হাত পড়েছে আমন ও মৎস্যচাষীদের। সব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার অন্তত ৬৫ হাজার ৪শ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।

শেরপুর খামারবাড়ীর উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, পাহাড়ি ঢলে ৩ উপজেলার আমন ধান ও সবজি আবাদ নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমবেশি নির্ভর করবে পানি নেমে যাওয়ার উপর।

অন্যদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বাঁধ ভেঙে ও নদীর পাড় উপচে পানি যাওয়ায় রামচন্দ্রকুড়া, কাকরকান্দি, নন্নী, পোড়াগাঁও, নয়াবিল, বাঘবেড়, কলসপাড়, মরিচপুরান, যোগানিয়া, রাজনগরসহ ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলার সব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বন্যাকবলিত বেশ কিছু এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রাতভর পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেন। ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর ভেঙে যাওয়া বাধ পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, মহারশি নদীর বাঁধ উঁচু করার সুযোগ নেই। তবে ভাঙনকবলিত স্থান দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে।

বন্যা পরিস্থিতি সর্ম্পকে শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ বেতারকে বলেন, অবিরাম বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। আমাদের সংগ্রহে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার রয়েছে। পানিবন্দী পরিবারগুলোকে তা সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরবর্তীতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram