চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের ঝাল বেড়ে ৪সেঞ্চুরী পার করেছে। স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০টাকায়। বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের পাশাপাশি বিভিন্ন কাঁচামালের দাম বেড়েই চলছে লাগামহীনভাবে। ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরী করে অধিক মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করলেও কর্তৃপক্ষের তদারকি নেই বলে ক্রেতাদের দাবী।
শনিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কয়েকদিনের তুলনায় কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির পেয়েছে ৩-৪ গুন। থানাহাট বাজারের কাচামাল ব্যবসায়ী নান্টু মিয়া মরিচ বিক্রি করছে পোয়া ৯০-১০০টাকা হারে ৩৬০-৪০০টাকা কেজি দরে। তার পাশের ব্যবসায়ী তারা মিয়া কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন একই দরে। অনেকে বিক্রি করছেন ১০০টাকা পোয়া হিসাবে ৪শ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচের পাশাপাশি আলু ৫৫টাকা কেজি, বেগুন ৬০টাকা কেজি, মুলা ৫০টাকা কেজি, পটল ৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা কয়েক দিনের তুলনায় অনেক বেশী। বাজার তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় নিজেদের ইচ্ছামত দামে পণ্য বিক্রি করছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।
এসময় পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী ছকমল হোসেন বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের সরবারাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রুস্তম আলী, মাসুদ রানা দুদু, সুমন মিয়া, মাইদুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, আজাদ, শাহ আলম ও নান্টু মিয়াসহ অনেকে জানান, গত ক’দিন আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে কাঁচা মরিচ ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত থানাহাট বাজারের প্রবেশদ্বারে আসতেই মিজানুর রহমান নামে এক কৃষককে পলিথিনের ব্যাগে সামান্য কাঁচা মরিচ হাতে নিয়ে আসতে দেখা যায়। তিনি এ প্রতিনিধির উদ্দেশ্যে কন্ঠ ভাড়ী করে বলতে থাকেন কাঁচা মরিচের পোয়া ১০০টাকা, আমরা গরীব মানুষরা চলবো কেমনে? এগলা পেপারোত লেহেন(লিখেন) না?
বাজারে আসা সবজি ক্রেতা মিলন মিয়া, আলমগীর হোসাইন, সাজু মিয়া, জিয়াউর রহমান জুয়েল ও মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিন আগে মরিচের কেজি কিনেছি ৮০টাকা। আজ সে মরিচ কেজিতে ৮০টাকা থেকে বেড়ে ৪০০টাকা হয়েছে। সরবরাহ সংকটের কথা বলে বেশি দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করলেও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচা মরিচ রয়েছে। কয়েকদিনের ব্যাবধানে কেজিতে চারগুনেরও বেশী দাম বাড়লেও এর কোনো সঠিক জবাব নেই ব্যবসায়ীদের কাছে। বাজারে কর্তৃপক্ষের কোন তদারকি চোখে পড়ে না বলেও জানান তারা।
এ প্রসঙ্গে কথা হলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার নঈম উদ্দীন বলেন, বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বাজারে কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।