আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় উত্যক্তকারী কুদ্দুস গাজী ও তার সহযোগীরা স্বামী জাফর গাজী (৩৫), স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৮), শালী শিরিন বেগম (২৪) ও শ্বাশুড়ী রাহেলা বেগমকে (৫০) পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত স্বামী জাফর গাজী এমন অভিযোগ করেছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরের বাঁধঘাট এলাকায়।
জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বৌ বাজার এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর জাফর গাজী আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরের বাঁধঘাট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী—সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ওই বাসার পাশে প্রতিবেশী কুদ্দুস গাজী গত এক মাস ধরে জাফর গাজীর স্ত্রী মুক্তা বেগমকে উত্যক্ত করে আসছে এমন দাবী স্ত্রী মুক্তা বেগমের। উত্যক্তের ঘটনা স্ত্রী মুক্তা বেগম স্বামী জাফরকে বলে দেয়। সোমবার সকালে জাফর গাজী তার স্ত্রীকে উত্যক্তকারী কুদ্দুস গাজীকে উত্যক্ত করতে বারণ করেন। একে ক্ষুব্ধ হয়ে কুদ্দুস গাজী তাকে মারধর করেন।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে জাফর কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে সড়কে ওঠেন। এমন সময় কুদ্দুস গাজী ও তার লোকজন পুনরায় তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে তাকে রক্ষায় তার স্ত্রী মুক্তা বেগম, শালী শিরিন বেগম ও শ্বাশুড়ী রাহেলা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরকে কুদ্দুস গাজী, শাহাবুদ্দিন গাজী, ছালাম গাজী ও বরজান গাজী বেধরক মারধর করে। মারধরে স্ত্রী মুক্তা বেগমের মাথায়, শিরিন বেগমের শরীরের জখম হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন গুরুতর আহত মুক্তা বেগম ও শিরিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
জাফর গাজী বলেন, আমি গাজীপুর বন্দরের বাঁধঘাট এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকি। ওই ভাড়া বাসার প্রতিবেশী কুদ্দুস গাজী আমার স্ত্রীকে উত্যক্ত করে আসছে। এ এতে বাধা দেয়ায় আমাকে কুদ্দুস গাজী মারধর করে। আমাকে রক্ষায় আমার স্ত্রী মুক্তা বেগম, শালী শিরিন বেগম ও শ্বাশুড়ী রাহেলা এগিয়ে আসলে কুদ্দুস গাজী ও তার সহযোগী সাহাবুদ্দিন গাজী, ছালাম গাজী ও বরজান গাজী মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, আমার বাড়ী এ এলাকায় না হওয়ায় কুদ্দুস গাজী আমার ও আমার পরিবারে ওপর নির্যাতন করছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবী করছি।
উত্যক্তকারী কুদ্দুস গাজী উত্যক্তের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, আহত দুই নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।