মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকালে ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২১ শিশু, ১২ নারী ও ৪ জন পুরুষ রয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, কক্সবাজারের টেকনাফ শামলাপুরের ফিশিং ট্রলারের মাধ্যমে শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে স্থানীয়রা ৩৭ জনকে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। বাকি অন্তত ৬৩ জন পালিয়ে পাশের ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, দালালের মাধ্যমে নৌকায় মিয়ানমারের থেকে অনুপ্রবেশকালে স্থানীয়দের সহতায় ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক রোহিঙ্গা রেজিয়া বেগম বলেন, আরাকান আর্মি আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিছে। তারা আমাদের ক্যাম্প তৈরি করতে বলছিল। আমাদের গ্রামে বিমান হামলা করে, এতে অনেকেই মারা যাচ্ছে। তাই প্রাণে বাঁচতে নাফ নদীর তীরে আসি। সেখানে একটা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করি। আমাদের প্রতিজনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে দালালরা।
রোহিঙ্গা ফাতেমা বেগম বলেন, আমাদের ওপর বেশি জুলুম-নির্যাতন করতাছে আরাকান আর্মি। আমাদের সামনে অনেক মানুষকে ড্রোন দিয়ে হত্যা করছে। টাকাপয়সা, গয়না কেড়ে নিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে নাফ নদী কিনারে গিয়ে কান্না করলে একটি নৌকা আমাদের তুলে নিয়ে বাংলাদেশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমহাদ হোসেন খোকন বলেন, দালাল চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে একটি রোহিঙ্গা নিয়ে আসে। পরে তাদের সমুদ্রের তীরে নামিয়ে দেয়। এদের মধ্য বেশির ভাগই শিশু। তাদের প্রাথমিকভাবে খাবার সহতায় দেওয়া হয়েছে।