জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে হয়ে গে লাখো পর্যটক আর ভক্তর সম্প্রীতির মিলন মেলায় দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকেই রং ছিটানো, আতশবাজি ফুটিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে বের করা হয় শোভাযাত্রা। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতে পর্যটক আর ভক্তদের ঢল নামে। নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো বিসর্জন পর্যবেক্ষণে রাখে পুলিশ। বিসর্জন দেওয়া হয় শতাধিক প্রতিমা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহ-উদ্দীপনায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব।
কক্সবাজারের নয়টি উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি লামা এবং আলীকদম উপজেলা থেকেও প্রতিমা এনে সৈকতে বিসর্জন দেওয়া হয়। ৩টার দিকে শুরু হয় বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠান বিজয়া সম্মেলন।
এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, র্যাব অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, শিক্ষাবিদ প্রফেসর সোমেশ্বর চক্রবর্তী, আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক খান কায়সারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) উদয় শংকর পাল বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান এটি। এবার কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় ৩২১টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫১টি প্রতিমা ও ১৭০টি ঘটপূজা। বিকেল ৫টার পর মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে সৈকতে সমবেত সব প্রতিমা একযোগে সাগরে বিসর্জন দেওয়া হয়।