মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: মিরসরাই উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় ৮ বছর পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এস.এম হারুন বাদী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান আসামী করে এজহারনামীয় ৯০ জনের নামে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারনামীয় শহীদ খাঁন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র গিয়াস উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল করিম খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এরাদুল হক নিজামী ভুট্টো, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটসহ ১৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মিরসরাই পৌরসভার সকল কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মিরসরাই পৌর ভবনের পাশে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয় সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৮০ থেকে ১০০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ভাংচুর করে। বুলডোজার দিয়ে ভবন গুটিয়ে কার্যালয়ে থাকা টিভি, আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এসময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ওই সময় এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে স্বৈরাচার সরকারের অনুসারীদের ভয়ে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। উল্টো উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল কাদের জানান, বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে হারুন নামে একজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহারনামীয় শহীদ খাঁন নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ জিপসন বাদী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান করে সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল, বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ রেজাউল করিম খোকন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়াসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন। এছাড়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার পল্টন থানায় মাহফুজার রহমান বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে ৯ নং আসামী করে ভাংচুর, লুটপাট ও হত্যাচেষ্ঠার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।