মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে স্ত্রী নির্যাতন মামলায় স্বামী ফরহাদ মিয়া ওরফে সোরহাবকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ২মাসের সশ্রম কারাদন্ডও প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রোকনুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডিত ফরহাদ মিয়া ওরফে সোরহাব মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের বিল কালিদহ এলাকার মৃত বকশি মিয়ার ছেলে।
এজহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ৩০ হাজার যৌতুকের জন্য স্ত্রী কমলা বেগমকে শারীরিকভাবে অমানুষিক নির্যাতন করেন স্বামী ফরহাদ মিয়া ওরফে সোরহাব। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কমলা বেগমকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। এরপর চিকিৎসা শেষে ২০১৬ সালের ২০ জুলাই দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার কমলা বেগম।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানার এস.আই.এম হাসান বুলবুল তদন্ত শেষে ফরহাদ মিয়া ওরফে সোরহাবকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ১লা জানুয়ারি আদালতে চার্জ শিট দাখিল করেন। মামলায় উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে ১০জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামির অনুপস্থিতিতে আদালতের বিচারক আসামীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ২মাসের সশ্রম কারাদন্ডও প্রদান করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এ.কে.এম নুরুল হুদা রুবেল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী লুৎফর রহমানের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।