সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টমটম চালক আবুল খায়ের কে হত্যার অভিযোগে রুবেল আহমেদ সাগর ওরফে জসিম (৩০) কে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে রুবেল কে সনাক্ত করে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে সে সহ আরো ৩/৪ জন মিলে আবুল খায়ের কে হত্যার কথা স্বীকার করে। আটককৃত রুবেল উপজেরার আশিন্দ্রোন ইউনিয়নের তিতপুর এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) তৌকির আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালিঘাট চা বাগান থেকে আবুল খায়ের (৩০) নামে একজনের লাশ উদ্বার করে পুলিশ। তার গলায় ধারালো ছুরির দাগ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে কোন বিরোধ থেকে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আবুল খায়ের উপজেলার মুসলিমবাগ এলাকার আনসার আলীর ছেলে। সে পেশায় টমটম চালক।
এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের স্ত্রী মোছাঃ সুমনা আক্তার (২৬) বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের নামে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ঘটনার পর পরই নৃশংস হত্যাকান্ডের সহিত জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের একাধিক চৌকস টিম কাজ শুরু করে।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার শ্রীমঙ্গল সার্কেল সার্বিক দিক নির্দেশনায় শ্রীমঙ্গল অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে মামলার তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামী রুবেল আহমেদ সাগর ওরফে জসিম (৩০)‘কে সনাক্ত করে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গত ১৫/১০/২০২৪ খ্রিঃ বিকালে থানায় এনে ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আসামীকে আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করে জানায় যে, সেসহ তার সঙ্গীয় আরও ৩/৪ জন আসামী মিলে গত সোমবার রাত্র আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে অটোরিক্সাসহ কালিঘাট চা বাগানে নিয়া যায় এবং ভিকটিমের মিনি টমটম (মিশুক) নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিলে ভিকটিম আসামীদের বাঁধা দিলে সকল আসামী ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে।
আসামীদের ধারালো চাকুর আঘাতে একপর্যায়ে রক্তক্ষরন হয়ে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করলে আসামীরা ভিকটিমের অটোরিক্সা নিয়ে যায়। আসামীরা ভিকটিমের পরিচিত হওয়ায় এবং অটোরিক্সা ছিনতাই করার সময় ভিকটিম আসামীদের চিনতে পারায় আসামীরা ভিকটিমকে হত্যা করে। পরে আসামীর বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে আসামীর সনাক্ত মতে ঘটনার সময় আসামীর পড়নে থাকা বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, মামলার ঘটনায় জড়িত অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে।