এম এ জলিল সরকার, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পার্শবর্তী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থরা জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটি ব্যানারে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় খনির মেইন গেটে অবস্থান কর্মসূচী ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সমাবেশে ক্ষতিগ্রস্থরা ৫দফা দাবি ও মিথ্যা আশ্বাসের বিরুদ্ধে খনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীরা মূহুর্তে মূহুর্তে শ্লোগান দিতে থাকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে। তাদের ৫দফা দাবি গুলো হলো- ফাঁটা বাড়ির ক্ষতিপূরণ, কয়লাখনির গেট হতে চৌহটি গ্রামের শেষ প্রান্ত রাস্তাটি পূর্ণ সংস্কার, কয়লাখনি প্রতিষ্ঠাকালিন সময় এলাকাবাসীর সাথে সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়ন, অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ বা বসবাসে অযোগ্য বসতবাড়ী ও স্থাপনার স্থায়ী সমাধান এবং মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগা মাঠ, কবরস্থান এবং মন্দির উন্নয়নের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী ঘিরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আর্মফোর্স, আনসারসহ বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা সদস্যরা মোতায়েন ছিল। সমাবেশ চলাকালে খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসার জন্য ক্ষতিগ্রস্থদের প্রস্তাব দিলে ক্ষতিগ্রস্তরা রাজি হয়। দুপুরের দিকে খনি কর্তৃপক্ষর সথে আলোচনায় বসার জন্য ক্ষতিগ্রস্থদের ৫সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল খনির প্রশাসন দপ্তরে গেলে আলোচনা শুরু হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন আলহাজ মমতাজ আলী মন্ডল, আলহাজ মোজাম্মেল হক, সাইদুর রহমান, মতিয়ার রহমান ও অধ্যাপক এন্তেজামুল।
খনি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও প্রকৌশলী নুরুজ্জামন চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে আলোচনা করেন। পরে উভয়পক্ষে সমঝোতায় পৌছায়। খনি কর্তৃপক্ষ ১মাস সময় বেঁধে দেন ক্ষতিগ্রস্থদেরকে এতে তারা রাজি হন। বেলা পৌনে ২টার দিকে ক্ষতিগ্রস্থর প্রতিনিধি দল এসে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন এবং জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির সভাপতি মোতালেব মতিয়ার ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত চৌহাটি গ্রামবাসিকে আশ্বস্ত করলে ক্ষতিগ্রস্তরা স্ব স্ব গ্রামে ফিরে যান।