কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফের ইয়াবা কারবারি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবরে এই মামলাটি করা হয়। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদা এলাকার মৃত লাল মিয়ার পুত্র।
মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-৩) মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
যাচাইকালে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলম তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত দুই কোটি আট লাখ ৪৫ হাজার ৬২৮ টাকার সম্পদ অর্জন পূর্বক ভোগ দখলে রাখার প্রমাণ মিলেছে। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০২ জন ব্যক্তি নিজেদের ইয়াবা কারবারি স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ওই সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশ প্রধান ড. জাবেদ পাটোয়ারীসহ অনেকের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন জাহাঙ্গীর। অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের জালে আটকা পড়লেন।