কার্তিকের শুরুতেই দিনাজপুরে শীতের আমেজে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। আজ শনিবার ভোর সকাল থেকে ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিনাজপুর। এ সৌমুসে আজকেই সবচেয়ে বেশী কুয়াশা পড়েছে বলে জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। ঘনকুয়ামার কারণে সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধির গতিতে চলাচল করেছে সকল ধরণের যানবাহন।
কিন্তু কুয়াশা পড়লেও শীত এখনও নামেনি। গমর না থাকলেও শীত অনুভুত হচ্ছে না। ফজরের ওয়াক্তে সমজিদের ফ্যান চালিয়ে মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। তবে শীত অনভিূত না হলেও সকল শ্রেণির মানুষ এই কুয়াশাকে দারূণ ভাবে উপভোগ করেছেন।
ঘন কুয়াশার মধ্যে মাঠে খেলা করতে দেখা গেছে। ফজরের ওয়াক্তের মুসুল্লিরা ও সকালে হাটতে বের হওয়া মানুষ এই কুয়াশা দারুণ উপভোগ করেছেন। সদর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের আজমল হোসেন বলেন, আজ কার্তিকের ৩ তারিখ। কয়েকদিন ধরে কুয়াশা পড়ছে।
কিন্তু আজকে খুব বেশি কুয়াশা পড়েছে। তবে শীত নাই। কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে শীত কড়া নাড়ছে দরজায়।
মুসুল্লি নবি ইসলাম বাবু বলেন, ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে মসজিদে যাওয়ার সময় দেখি অনেক কুয়াশা পড়েছে। কিন্তু সমজিদের ভিতরে গিয়ে ফ্যান চালিয়ে নামাজ আদায় করতে হয়েছে।
ড্রাইভার দুলাল হোসেন বলেন, গাড়ী নিয়ে ফুলবাড়ী যাব এ জন্য বের হয়েছি। ফুলবাড়ী বাসষ্ট্যান্ডে এসে দেখি প্রচুর কুয়াশা পড়েছে। সব ধরণের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
সাদর উপজেলার ভবানী শাহার ডিহি এলাকায় দেখা যায়, ধান ক্ষেতে মাকড়াসা জাল বুনেছে। সেই জালে শিশির জমেছে। ধান গাছের পাতা থেকে টপটপ করে শিশিরবিন্দু পড়ছে।
সদর উপজেলার উলিপুর থেকে বাহাদুর বাজারে সবজি নিয়ে আসা জুয়েল ইসলাস বলেন, গ্রামের রাস্তায় অনেক কুয়াশা। খুব সকালে দূরে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তাই ধিরে ধিরে আসতে হয়েছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা তোফাজ্জুর রহমান বলেন, আজ ভোরে কুয়াশা পড়েছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশা লক্ষ করা গেছে। এ সময় এমন কুয়াশা স্বাভাবিক বিষয়। এভাবেই আস্তে আস্তে শীত চলে আসবে। তবে দিনাজপুরের তাপমাত্রা ২৪/২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা নামা করছে।