মজিবর রহমান, মঠবাড়িয়া(পিরোজপুর)প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও গনঅভ্যুত্থানে আঃলীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম আবু মাষ্টার ও তার ভাইয়ের অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের সৌদি প্রবাসী মামুন মিয়ার সেমিপাকা দোকানঘর জবর দখলের ঘটনায় সংবাদ সন্মেলন করা হয়েছে।
শনিবার সকালে পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের আরামবাগে ভুক্তভোগী পরিবার এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী কানিজ ফাতিমা মিশু লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন,আমার স্বামী সৌদি প্রবাসী।আমি আমার ছোট শিশু ছেলে মেয়ে নিয়ে মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মিঠাখালী মৌজার জেএল নং ৩৭,এস এ খতিয়ান নং ৯১৬,দাগ নং৩৪,৩৫ এর ১৭৬ নং হোল্ডিংয়ে বসবাস করি।ওই হোল্ডিংয়ে একখান টিন সেটের ঘর ও সামনে সরকারি ওয়াফদার ডালে চার (৪) সাটার বিশিষ্ট একখানা সেমিপাকা দোকানঘর রয়েছে।গত ৫ আগষ্ট ২৪' সরকার পতনের পরের দিন ৬ আগষ্ট পৌরসভার একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আবদুল আজিজ হাওলাদারের দুই ছেলে যুবদল নেতা কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আবুু মাষ্টার তাদের দলবল নিয়ে জোর পূর্বক দোকান ঘর দখল করে নেয়। আমি ও আমার বৃদ্ধা শাশুড়ী বাঁধা দিলে আমার শাশুড়ী কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।প্রতিপক্ষরা দোকান ঘর জবরদখল করেই ক্ষান্ত হয়নি উপরন্তু আমাদেরকে খুন,জখম ও বাসায় আগুন জালিয়ে দিয়ে জীবন নাশের হুমকি দেন। বর্তমানে কামাল হোসেন ওই দোকান ঘরে ব্যবসা করছেন।আমি নিরুপায় হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর ২৪' মঠবাড়িয়া সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাইনি। আমি ও আমার পরিবার তাদের অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।যে কোন সময় তারা আমাদেরকে খুন,জখম ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে পারে।
এ সময় ভুক্তভোগী গৃহবধূর কানিজ ফাতিমা মিশুর ননদ রাজিয়া বেগম ও ননদের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয় উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম আবু মাষ্টার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,ওই খতিয়ানের রেকর্ডীয় জমি আমাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত।সে কারনে ওই জমিতে অবস্থিত দোকান ঘরের দখল নেওয়া হয়েছে।