রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস কে নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল একটি অংশ চেয়ারম্যানকে দুর্নীতির দায়ে অপসারিত ও ছাত্র জনতার ওপর হামলাকারী আখ্যায়িত করে বিক্ষোভ মিছিল ও সভার ডাক দেয়। রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বিক্ষোভ মিছিলের আগে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক মেম্বার কমরুদ্দীন আহমদ ও তার ছেলে পঙ্কি মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি পক্ষ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ নিয়ে সকাল থেকে স্থানীয় মোকামবাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নকুল চন্দ্র দাসকে রোহিঙ্গা নিবন্ধনের অভিযোগে গত ২৪ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে তিনি উচ্চ আদালতে রীট পিটিশিন করে আবারো পদ ফিরে পান। এরই মাঝে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটলে চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস ইউনিয়নে অফিস করতে পারেননি। সম্প্রতি এলাকায় গুঞ্জন ছড়ায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি কমরুদ্দিন আহমদের সহযোগিতায় ইউনিয়নে অফিস করছেন চেয়ারম্যান। এ নিয়ে বিএনপির সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন ও সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে রবিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সভার ডাক দেয়া হয়। বিক্ষোভ মিছিলে যাওয়ার আগে বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি কমরুদ্দিনকে আনতে যান কয়েকজন নেতাকর্মী। তিনি আসার সময় তার ছেলে পঙ্কি মিয়া এতে বাধ সাধেন। পরে পঙ্কি মিয়ার নেতৃত্বে তার লোকজন বিক্ষোভে জড়ো হওয়া লোকজনকে ধাওয়া দেন এবং ব্যানার কেড়ে নেন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছেন। এদিকে খবর পেয়ে রাজনগর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সভার আয়োজনকারী ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য ইউনিয়ন সভাপতিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আব্বাস আলী ফোন দিয়ে বলেছেন। আমাদের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে। এরপরও তিনি আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যানের পক্ষ হয়ে মিছিলে বাধা ও নেতাকর্মীদের মারধর করে ধাওয়া দিয়ে ব্যানার কেড়ে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কমরুদ্দিন আহমদ বলেন, আমি বিক্ষোভ মিছিলের বিপক্ষে নই। আমি বলেছি আজকে না করে সকলের আলোচনার মাধ্যমে সময় ঠিক করে করা হবে। যারা দাওয়াত পায়নি তারা বাধা দিয়েছে।
রাজনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মুবাশ্বির বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতের কোন খবর এখনো পাইনি।