সুজন হোসেন রিফাত, রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে মাফিয়া দালালদের হাতে আটক মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটের কিশোর সায়েম মিয়া (১৭)। তিউনিসিয়ার পাহাড়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ হিসেবে দাবী করছে আরোও বিশ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে দালালের হাতে দেওয়া হয়েছে তেরো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। প্রথমত দালালদের সাথে তেরো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায় চুক্তি হয় কিশোর সায়েমের পিতা ইকবাল হোসেনের। দালালদের দৌরাত্ম্যে কিশোর সায়েমের পিতা লন্ড্রী দোকানদার ইকবাল হোসেন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় কিশোর সায়েমের বাবা ও মা বিচার দাবী করেছেন। পরিত্রাণের দাবী জানিয়ে রাজৈর থানায় মাফিয়া দালালদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন।
ইকবাল হোসেন বলেন, রাজৈর উপজেলার মধ্য বদরপাশার মো আরিফ হাওলাদার, খবির হাওলাদার, ফটিক হাওলাদার, হোসনেআরা ও কালকিনি উপজেলার পশ্চিম আলীপুরের মোঃ মেহেদী হাসান শেখের সাথে তেরো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায় আমার ছেলে সায়েম মিয়াকে ইতালি নিয়ে যাবে ও ভাল চাকুরী দিবে এই প্রস্তাবে আমি রাজি হলে, বিগত পাচ মাস পূর্বে আমার ছেলে ইতালির উদ্দেশ্য রওনা হয়। কয়েকমাস পরে সংবাদ পাই ছেলেকে ইতালি না নিয়ে লিবিয়া পাঠিয়ে দেয় অভিযুক্ত দালাল মোঃ আরিফ হাওলাদার। আরিফ হাওলাদার সায়েমকে লিবিয়া নিয়ে তিউনিসিয়ার মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়, এখন মাফিয়ারা আমার কাছে ফোন করে আরোও বিশ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন, টাকা না দিলে আমার ছেলেকে খুন করে ফেলবে।
সায়েমের মা সম্পা আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে পাহাড়ে আটকে রেখেছে দালাল মেহেদী হাসান, টাকা না দিলে সায়েমকে খুন করে ফেলবে মাফিয়ারা।
এ ঘটনায় ব্যাপারে দালাল মোঃ আরিফ হাওলাদারের মধ্যে বদরপাশার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি, তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি, তার মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন উত্তর দেননি।
ইকবাল হোসেনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাসুদ খান জানায়, ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে, ইতিমধ্যেই আমরা অভিযুক্তদের বাড়িতে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে দালালের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।