কক্সবাজার প্রতিনিধি: নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনালের (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। কারণ বঙ্গোপসাগরের এই অঞ্চল ভৌগোলিক এবং ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অতীতে এখানে নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্ব দেয়া হয়নি।
বঙ্গোপসাগরে নিরাপত্তা ইস্যু গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তাই মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যেমন দরকার তেমনি বাহিরেরও নিরাপত্তা দরকার বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ বিশাল সাগরে এই বন্দরের সক্ষমতা অনেক বেশী। সাগরে অনেকের যাতায়াত তাই বন্দরের ভেতরে-বাইরে নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে কক্সবাজারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম ফেইজের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ফেইজের কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী ২০২৯ সাল নাগাদ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরকে বাণিজ্যিকভাবে চালু করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন জাইকা অর্থ যোগান দিচ্ছে। তারা গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে খুবই আন্তরিক। তারা যথাযথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশে ৭ টি লাইট হাউজ নির্মাণ কাজ চলছে। এগুলোও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর ফলে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচলে সুফল পাওয়া যাবে।
নাফ নদী ড্রেজিং বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আরাকান অঞ্চলে এখনও যুদ্ধ চলমান। এ কারণে নাফ নদী ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে আরাকানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরাকানে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল ঝুকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করে তিনি জানান, পরিস্থিতি যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল করতে হবে।
এর আগে তিনি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর এবং কোল পাওয়ার কোম্পানির উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি মহেশখালীতে অবস্থিত এসপিএম প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান সচিবসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।