এস এম আব্দুল্লাহ সউদ, কালাই প্রতিনিধি: জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার চরবাখরা গ্রামে তছিমদ্দিন ফকির নামে এক বৃদ্ধের বাড়িতে গভীর রাতে সংঘটিত হয়েছে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা।খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব। তিনি পুরো বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেফতারে সচেষ্ট রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। চরবাখরা গ্রামে এই ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার দিবাগত রাত দু’টার দিকে সংঘটিত এই ডাকাতির ঘটনায় বাড়ির সদস্যদের উপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। ডাকাত দল ১০ লাখ টাকা মূল্যের ৪টি গরু, নগদ ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার এবং অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বাড়ির এক নারীও। মারপিট ও নির্যাতনে আহত ৪, হাসপাতালে ভর্তি ডাকাতির ঘটনায়
আহত হয়েছেন তছিমদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৬৫), বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪২), নাতনি মিম্মা (১৫) এবং ছোট ছেলের স্ত্রী মালা বেগম (২৫)। মারাত্মক আহত অবস্থায় রোকেয়া বেগম, গোলাম মোস্তফা ও মিম্মাকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মালা বেগমকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তছিমদ্দিনের ছোট ছেলে এরশাদ হোসেন জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়ির বাইরে গভীর নলকূপ পাহারায় ছিলেন। ডাকাত দল প্রাচীর টপকে তার বাবার বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই বাড়ির সদস্যদের মারধর করতে শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে লুটপাট। ডাকাতরা ঘরের আসবাবপত্র ও চাল-ডালসহ যাবতীয় সামগ্রী লুট করে। এরশাদের অভিযোগ, ডাকাতরা তার স্ত্রীকে নির্যাতন করেছে। পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদেরও নির্মমভাবে পেটানো হয়।
চরবাখরা গ্রামে এই ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন ঘটনা এই এলাকায় আগে খুব কমই ঘটেছে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা খলিলুর রহমান বলেন, “এত সাহস নিয়ে যে ডাকাতরা আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালাতে পারে, তা কখনো কল্পনাও করিনি। পরিবারের সদস্যদের উপর এমনভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে যা সত্যিই ভয়ংকর।”
জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানান,“ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছি। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।”