গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে যুবলীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১২ জন আহত
হয়েছেন। হামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী এবং যুবলীগের ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পৌর সদরের চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লায় ওই সংঘর্ষ হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে ওই এলাকায়।
বিএনপির আহত নেতাকর্মীরা হলেন- মধ্যমপাড়া ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ইমদাদুল হক (৫৩), যুবদল নেতা সেলিম প্রাং (৩২), পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ (২২), মিলন প্রাং (৪০), মো. সাব্বির (১৯), মো. জনি (২২), মো. আলামিন (২০), মো. শামীম (৩৮), সাইফুল ইসলাম (৪৫) ও যুবদল কর্মী মুন্না (২৩)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে রাতেই ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শারমিন আক্তার সাথী।
এদিকে সংঘর্ষে যুবলীগের দুইকর্মী সাবেক কাউন্সিলর মকলেছ মৃধা (৫২) ও তার ভাতিজা জাহিদুল ইসলাম (৩৫) আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর এলাকায় পুলিশি তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার গভীর রাতে চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
এ ব্যাপারে খলিফাপাড়া মহল্লার চাল ব্যবসায়ী ও যুবদল কর্মী রাকিব হোসেন বলেন, ছয় মাস আগে আমার কাছ থেকে ৩০ বস্তা চাল বাঁকিতে নেন হোটেল ব্যবসায়ী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। গত তিনদিন ধরে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে সাবেক কাউন্সিলর মকলেছ মৃধা ও আলমগীরের সাথে তার দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে ক্ষিপ্ত হন আলমগীর। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ওই পাওনা টাকা চাইলে যুবলীগ নেতা আলমগীর ও মকলেছ মৃধার নেতৃত্বেতাদের লোকজন বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন ও মকলেছ মৃধার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া যায়নি। তবে তাদের পরিবারের মহিলা সদস্যরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইমদাদুল-রাকিবরাই তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন।