গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে নাটোরের গুরুদাসপুরে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের দশজন কর্মীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার সকালে (২৮ অক্টোবর) তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আহত শাকিল আহমদের পিতা আব্দুল হামিদ গুরুদাসপুর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর থানার ওসি গোলাম সারওয়ার।
এদিকে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। গত রোববার বিকেলে শহরের চাঁচকৈড় বাজারে ওই বিক্ষোভ মিছিল শেষে চৈতালী হাটা মোড়ে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে আসামীদের গ্রেফতারে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ ও পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু।
থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে দায়ের করা এ মামলায় পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেছ মৃধা (৫৫), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন (৪০) ও জাহাগীর মৃধা (৪৫) সহ ২৭ জন এবং অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামী করা হয়। পরে গারিষাপাড়া মহল্লার জবতুল্লাহ মিয়া বাটুলের ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লবকে সোমবার ভোরে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে মধ্যমপাড়া মহল্লার লেদু প্রামানিকের ছেলে রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে বিএনপি কর্মী রাকিব হোসেনের চাঁচকৈড় বাজারস্থ চালের দোকান থেকে বাঁকিতে প্রায় ১ লক্ষ টাকার ৩০ বস্তা চাল নেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। চালের টাকা চাইলে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে পৌর সদরের চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লায় স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীরা হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সংঘর্ষ ঘটলে মধ্যমপাড়া ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ইমদাদুল হক (৫৩), যুবদল নেতা সেলিম প্রাং (৩২), পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ (২২), মিলন প্রাং (৪০), সাব্বির (১৯), জনি (২২), আলামিন (২০), মো. শামীম (৩৮), সাইফুল ইসলাম (৪৫) ও যুবদল কর্মী মুন্না (২৩) গুরুতর আহন হন। আহতদের ৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী ও পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।