নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী ও যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা বলেন, লড়াই সংগ্রামে অর্জিত বিজয়কে সংহত করতে না পারলে আবারো নব্য ফ্যাসিবাদ হাজির হবে। তাই যুবদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি রুখে দিতে হবে। যুবদল সমস্ত অন্যায় সন্ত্রাস প্রতিহত করবে, কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেবে না।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৪ টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবদলের আয়োজনে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নাইক্ষ্যংছড়ি বাজার সংলগ্ন ছালেহ আহমদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এসে সমাবেশ স্থলে এসে সমাবেত হয়।
বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান চোধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবু কাইছারের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সভাপতি জহির উদ্দিন মাসুম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তুষার, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপি সভাপতি আরেফ উল্লাহ ছুট্টু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম বাহাদুর, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আবছার সোহেল, সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো: ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক জহির আহমদ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জিয়াবুল হক, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুল ইসলাম রাসেল, ছাত্রদল নেতা শাহে নেওয়াজসহ আরও অনেকে। বর্ণাঢ্য র্যালি ও যুব সমাবেশে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডসমূহের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, দেশের মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ নায়ক তারেক রহমান নিরাপদ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চান। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছরে দেশের মানুষকে ঘুমাতে দেয়নি। মিথ্যা মামলা আর দুর্নীতি করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করেছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামকে বানিয়েছে সন্ত্রাসীদের আয়নাঘর। আজ পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ পাহাড়ে শান্তির পায়রা উড়িয়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের মাঝে সম্প্রীতির বাঁধন সুদৃঢ় করে গিয়েছিলেন। সেই সোনার পাহাড়ে আজ লাশ পড়ছে প্রতিনিয়ত।