মো. এমরান হোসেন, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বাড়ির পাশে গর্তে রাখা সুপারি তুলতে গিয়ে আপন ২ভাই মো: শফি (৫০) ও মো. শহিদুল্লাহ (৪০) এর মৃত্যু হয়েছে। তারা জনৈক সালেহ আহমদ টুনুর ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক মহিলাসহ আরো চার জন। তারা হলেন মো: শফিউল আলম (৫৫), তৌহিদুল আলম (৪২), মো. ফারুখ (৩২) ও একজন মহিলা।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়ন এর ৬নং ওয়ার্ডের হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্ধা তরিকুল ইসলাম বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে সুপারি গর্ত রাখে মজে যাওয়ার জন্য। পরবর্তী মজে গেলে এসব সুপারি বিক্রি করবে। ওই গর্তের উপরে টিন দিয়ে বন্ধ করে ঢেকে রাখা হত। নতুন সুপারি নিয়ে আসা হয় গর্তে রাখার জন্য। তাই ওই গর্তে রাখা পুরাতন সুপারি তুলতে মেশিনের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করা হয়। পরে সুপারি তুলতে গিয়ে প্রথমে একজন মহিলা ওখানে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে একের পর এক অজ্ঞান হয়ে যায় সেখানে। খবর পেয়ে ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন'র একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত সবাইকে উদ্ধার করে প্রথমে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে চমকে হাসপাতালে প্রেরণ করে। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আপন ২ভাই মো: শফি (৫০), মো. শহিদুল্লাহ (৪০) মারা যায়।
ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: মহিউদ্দিন বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এতে দুইজন নিহত ও চার জন আহত হয়েছে।
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো: কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ১জন নারী সহ ৫জন পুরুষকে উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। একটি গর্তে (১০ ফুট) সুপারি রাখা হয়েছিল। সেখানে মিথেন গ্যাসের কারণে এ ঘটনা ঘটে।