কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আনন্দ টিভির সাংবাদিক মজিবুর রহমানকে হত্যা মামলায় জড়ানো ও তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাব ও কেরানীগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি আবদুল গনি বলেন, মজিবর রহমানকে আওয়ামীলীগ নেতা উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু মজিবুর রহমান বা তার পরিবার কখনোই আওয়ামীলীগ রাজনীতি করে নাই। কেরানীগঞ্জের কিছু কুচক্রী সাংবাদিক যারা স্বৈরাচারের আমলে বিভিন্ন অপকর্ম করেছিল তারাই এই মিথ্যা মামলার ইন্ধন দিচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। দ্রুত এই মামলা হতে মজিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য এই মানববন্ধন হতে আহবান জানাচ্ছি।
কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে। তাই দ্রুত মজিবুর রহমান কে উক্ত মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানাই।
কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদ বলেন, যে কুচক্রী মহলের ইন্ধনে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হউক।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ, মোহনা টিভির সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ, সামসুল ইসলাম সনেট, দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইমরুল কায়েস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রানা আহমেদ, ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শিপন উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য সাঈদ আহমেদ, নির্বাহী সদস্য আরিফ সম্রাট, চ্যানেল এস কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু বক্কর, দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি সোলায়মান, মুভি বাংলা টিভি, আলতাফ হোসেন অমি সহ কেরানীগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, জিহাদ নামে ৬ বছরের এক শিশু হত্যা নিয়ে শিশুর পরিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলাটি দায়ের করে। যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে এই মামলা করা হয়। যাতে আওয়ামীলীগের রাজনীতি না করা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতিকে আওয়ামীলীগ নেতা উল্লেখ করে মামলার আসামি করা হয়।