ঢাকা
৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৬:১৪
logo
প্রকাশিত : নভেম্বর ৬, ২০২৪

ত্রিশালের এই সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ১৭ বছরেও

মমিনুল ইসলাম, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের মাগুরেজাড়া তিনরাস্তার মোড় হতে কানার ঘাট সড়কটির বেহালদশা। কাঁচা মাটি দিয়ে তৈরি এ সড়কটিতে গত ১৭ বছরেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এ সড়কটির সংস্কারের বরাদ্দ থাকলেও করা হয়নি সংস্কার। ফলে সড়কের অবস্থা দিন দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবী স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, ১৩ ফুট প্রস্থ ১ কিলোমিটার সড়কটির বেহাল দশা চরম জনদুর্ভোগে পৌঁছেছে। বর্তমানে পায়ে হেঁটে চলাচলের মতো অবস্থা নেই। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের ফলে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাঁদা মাটিতে একাকার হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি বর্ষা মৌসুমে গভীর কাদা পরিণত হয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। রাস্তায় স্থান ভেদে এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত কাদার গভীরতা রয়েছে। বর্ষাকালে শিশু ও বয়স্কদের এই সড়কে চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সড়কের অচলাবস্থার ফলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না। এই এলাকার চাষীরা উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ নিয়ে পড়েন বিপাকে। এছাড়া কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হয় না।

স্থানীয়রা জানায়, গত ১৭ বছরে এই ১ কিলোমিটার কাঁচা সড়কে এক ডালি মাটিও পড়েনি। বর্ষাকালে সড়কে কাদা মাটির কারণে হাঁটাও দায় হয়ে পড়ে। তবুও কাদাযুক্ত পিচ্ছিল সড়ক দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে। কাদাযুক্ত সড়ক পাড়ি দিয়েই হাট-বাজারে যেতে হয় স্থানীয়দের। নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা এ সড়কটি পাকা করণের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পরে আর খোঁজ রাখেন না।

এলাকার বাসিন্দা এমদাদুল হক মানিক বলেন, নেতা আসে নেতা যায়, কিন্তু এ রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষা এলে প্রতিবছরই এ সড়ক দিয়ে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। হাঁটু সমান কাদা মাটি পেরিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। জনপ্রতিনিধি বদলায় কিন্তু বদলায় না আমাদের এলাকার দুর্ভোগের চিত্র।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সুলতান সাদেক বলেন, শুধু এই রাস্তা নয় আমার ওয়ার্ডের বেশির ভাগ রাস্তার একই অবস্থা, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর রাস্তার কাজের জন্য কোন অনুদান পাইনি।

এ ব্যাপারে হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদকে একাধিক বার মোঠফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram