মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: নাব্য সংকটের কারণে মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল ৫৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর সোমবার দুপুর থেকে পুনরায় চালু হয়েছে। নদীতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেল থেকে পলি অপসারণ করে নাব্যতা রক্ষা করা হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ বলেন, নদীর মূল চ্যানেলে নাব্যতা রক্ষা হওয়ায় বেলা একটার দিকে ফেরি চলাচল শুরু করানো হয়। ফেরি চিত্রা, ধানসিঁড়ি ও শাহআলী নামে তিনটি ফেরি আরিচাঘাট থেকে একসঙ্গে ছাড়া হয়। প্রতিটি ফেরিতে ১১টি পণ্যবাহী ট্রাক লোড দেয়া হয়। ফেরিগুলো নির্ধারিত সময়ে পাবনার কাজিরহাট ঘাটে পৌছে। এর আধা ঘন্টা পর খানজাহান আলী ও বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন নামে আরও দুইটি ফেরি লোড দিয়ে আরিচা ঘাট থেকে ছাড়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এই নৌরুটে বর্তমানে ৫টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহন নিয়ে প্রতিটি ফেরি চলতে গেলে কমপক্ষে ৮ ফুট নাব্যতার প্রয়োজন হয়। গত কয়েকদিন নদীতে পানি কমতে থাকায় মূল চ্যানেলের বিভিন্ন অংশে ডুবোচর জেগে উঠে। ওইসব স্থানে পানির গভীরতা ৬ ফুটের নিচে নেমে গেলে কোনভাবেই ফেরি চলাচল করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে গত শনিবার ভোর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, ড্রেজিং কর্তৃপক্ষ দুপুরের দিকে নদীতে নাব্যতা রক্ষার বিষয়টি জানালে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়। তবে কতক্ষণ পর্যন্ত নাব্যতা ঠিক থাকবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সিরিয়াল অনুযায়ী ট্রাকগুলো পারাপার করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে, বিআইডব্লিটিএ’র ড্রেজিং ইউনিটের আরিচা অঞ্চলের প্রকৌশলী ওসমান গনী বলেন, নদীতে এখন স্রোত কমে গেছে বিধায় চ্যানেলের মুখে পলি খুব একটা জমবে না। বিরতিহীনভাবে ড্রেজিং করে নদীতে চ্যানেল ঠিক রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই বছর আরিচা-কাজিরহাট সহ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৩৮ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নাব্যতা ঠিক রাখতে ২৪০ ফুট প্রস্থ বেসিং ও ১০ ফুট গভীরতার চ্যানেল তৈরীর কাজ করা হচ্ছে।