ঢাকা
৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ভোর ৫:৫৩
logo
প্রকাশিত : নভেম্বর ১২, ২০২৪

শ্রীপুরে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পরে ধর্ষণ, মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

রাজিবপ্রধান, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদরাসা থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির (১৩) এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হলে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। জেলে থাকাকালীন স্থানীয় মনু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন, মৃত আবুল হাশেম মোল্লার ছেলে নাসির মোল্লা, নাজিমুদ্দিন মোল্লার ছেলে এজাজুল মোল্লা, একরামুল মোল্লা সহ আরো অনেকেই মামলার বাদিকে মামলা তুলে নিতে মারধর সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে। আসামি নাজিম উদ্দীন ৪ মাস জেলে থেকে জামিনে বের হয়ে আবার ওই শিক্ষার্থীকে ৫ আগষ্ট অপহরণ করে।

এ ঘটনায় আবার শ্রীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা। পরে আদালতের মাধ্যমে অপহরণ মামলাটি করা হয়। যার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিতে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীন উপজেলার বহেরারচালা গ্রামের মৃত আবুল হাশিম মোল্লার সন্তান।

জানা যায়, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। অপহরণের চারদিন পর ওই শিক্ষার্থী কৌশলে ওইখান থেকে পালিয়ে আসে। পরে বিষয়টি পরিবারের কাছে জানালে চারজনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় মামলার মূল আসামি নাজিমউদ্দিন চারমাস জেল খেটে জামিনে আসেন। বাকি আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করেনি। পরবর্তীরে ২৮ জুলাই চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এখানে মুল আসামিকে রেখে বাকি সকল আসামিকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়।

এদিকে শ্রীপুর থানা পুলিশ জিডি মূলে গত (৭ নভেম্বর) সকালে ভিকটিম কে উদ্ধার করে সেভ কাস্টরিতে পাঠিয়ে দেয়।

এদিকে মামলার বাদি জানান, প্রায় এক বছর আগে আমার মেয়েকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আমার মেয়ে কৌশলে ওইখান থেকে চলে এসে বিষয়টি আমাদেরকে অবগত করে। পরবর্তীতে আমরা চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করি। এই মামলার প্রধান আসামি চার মাস জেল খেটে জামিনে এসে পুনরায় আবার আমার মেয়েকে অপহরণ করে। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছে মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে একটি জিডি নেয়। পরে আমি আদালতের মাধ্যমে একটি মামলা করি, মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে দেয়া হয়েছে সিআইডিকে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। গত ৭ নভেম্বর জিডি মুলে শ্রীপুর থানা পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে সেফ কাস্টরিতে পাঠিয়েছে। আমার মেয়েকে কোথা থেকে উদ্ধার করেছে কিভাবে উদ্ধার করেছে এ বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানতে পারিনি। তাছাড়া মামলা থেকে বাদ দেওয়া আসামিরা অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। পুলিশ অন্যায় ভাবে তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। আমি পুনরায় সঠিক তদন্তের জন্য আদালতে না রাজি দিয়ে আবেদন করেছি। আমার ধারণা পুলিশ অন্যায় ভাবে এই প্রতিবেদন দিয়েছে আমি সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবি করছি।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা উপপরিদর্শক এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, ভিক্টিমকে উদ্ধার করে তার পিতা-মাতার নিকট দিতে চাইলে সে তার পিতা মাতার নিকট যেতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে ভিকটিমকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার জন্য সেভ কাস্টরিতে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram