বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরি ছাড়লেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন।
বুধবার রাত ১০টার দিকে মোবাইলফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ই-মেইলে এবং ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি অবগত করে তারা দুজন চিঠি দেন।
গত মাসের ৯ অক্টোবর আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে একটি দৈনিক পত্রিকার রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী এবং আরেক ভাই আবু হোসেনকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর পদে নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
চাকরি পাওয়ার এক মাসের মাথায় অব্যাহতি নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবু হোসেন জানান, তারা দুই ভাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত মাসে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর থেকে অফিসে সময় দিতে পারিনি। সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এখন অফিসে সময় না দিয়ে মাস শেষে বেতন নেওয়ার আমাদের কোনো ইচ্ছে নাই। এ কারণে আমরা চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহিদ। আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর সারা দেশে আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।