ওমর ফারুক,আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ শীতের আগমনী বার্তায় উত্তরের জনপদ নওগাঁর আত্রাইয়ে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। শীত নিবারণের জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোষক বানাতে ক্রেতারাও ভিড় করছে দোকানগুলোতে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীত মৌসুমে লেপ ও
তোষকের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। এজন্য অনেক ব্যবসায়ী সেটি মাথায় রেখে অগ্রিম পণ্য তৈরি করে রাখছেন।এছাড়া ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোষক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তা ঘাটে, অনেকেই ব্যস্ত সময় পাড় করছেন পুরোনো লেপ-তোষক মেরামতেও।
উত্তরের জনপদে ভোরে ও সন্ধ্যা-রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। অনেকেই শীত নিবারণের জন্য সকালে ও রাতে গায়ে সোয়েটার ও চাঁদর জড়াচ্ছেন। রাতে বিছানায় টেনে নিতে হচ্ছে কাঁথা ও কম্বল। এবার বাজার গুলোতে কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কালো সুতির তুলা ২০ থেকে ৪০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ২০ থেকে ৪০ টাকা, সাদা তুলা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করে দরে বিক্রি হচ্ছে।
আত্রাই উপজেলার বেইলি রোড মোড়ের বেডিং হাউসের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন জানান,গতবারের তুলনায় এবার জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। লেপের তুলা প্রতি কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়েছে। কাপড়ের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। প্রতিটা লেপ তোষকে লাভ হয় ২৫০-৩০০ টাকা। ঢাকা,বগুড়া এবং নওগাঁ থেকে মাল নিয়ে আসি। গত কয়েক বছরের তুলনায় সব কিছুর দাম অনেক বেড়েছে।
আত্রাই উপজেলা ভবানীপুর বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ও সাইদুল ইসলাম জানান,এখন জিনিসপত্রের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। এখন আমাদের লেপ-তোষক তৈরিতে সময় যাচ্ছে। আর ১৫-২০ দিন গেলে আমাদের বিক্রি শুরু হবে। এই বিক্রি চলে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত।
ফুল বাড়ি গ্রামের রত্না বেগম বলেন,বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার লেপ-তোষক তৈরির খরচও বেড়েছে। আমি পুরোনো লেপ খুলে নতুন করে তৈরি করার জন্য দোকানে নিয়ে এসেছি। তুলার খরচ বাদ দিয়ে কাপড় ও মজুরি বাবদ ৭০০ টাকায় বানাতে দিয়েছি।