শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আওয়ামীলীগের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মীকেও আসামী করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার শরণখোলা থানায় এ মামলা করা হয়।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াত কর্মীদের মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় বাগেরহাট আদালতে তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হলে আদালত স্থানীয় থানাকে মামলাগুলো এফআইআর ভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী উপজেলার রাজেশ্বর গ্রামের আবুল হাওলাদার উপজেলা আওয়ামীলীগের ৩২ জনকে আসামী করে বাগেরহাট কোর্টে একটি মামলা করেন। একই ভাবে উপজেলার উত্তর সাউথখালী গ্রামের স্থানীয় জামাত নেতা আবু বকর সিদ্দিক তার উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ১৪ জন আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসান মুন্সী আওয়ামীলীগের ১৫ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীদের মধ্যে স্থানীয় রায়েন্দা পাইলট ও আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দু"জন শিক্ষকও রয়েছেন।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, আদালতের নির্দেশক্রমে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের ধরতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।