জাবেদ হোসাইন মামুন, সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীর দারুল উলুম আল হোসাইনিয়া ওলামা বাজার মাদরাসায় এক আ.লীগ নেতা ও তার দোসরদের দ্বারা অবৈধভাবে একের পর এক ছাত্র-শিক্ষকদের বরখাস্ত ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ও ছাত্ররা।
শনিবার দুপুরে সোনাগাজী পৌর শহরের জিরোপয়েন্টে আপ্যায়ন মিষ্টি মেলা রেস্টুরেন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, এম ফখরুল ইসলাম নামে এক আ.লীগ নেতা বিগত আ.লীগ সরকারের পতনের কয়েকমাস পূর্বে মাদরাসাটি দখল করেন। শূরা ও আমেলা কমিটি তথা কওমী মাদরাসার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তথাকথিত আহবায়ক কমিটি গঠন করে ভিন্নমতের ছয়জন শিক্ষক ও বেশ কয়েকজন ছাত্রকে মাদরাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া কয়েকজন ছাত্র ও শিক্ষককে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এসব জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদ করলেই ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর নেমে আসে অমানুসিক নির্যাতন। শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে গ্রুপিং লেলিয়ে দিয়ে এম ফখরুল ইসলাম ও তার দোসরেরা ফায়দা লুটে নিচ্ছেন। মাদরাসাটির অধিগ্রহণের ১০ কোটি টাকার ওপর দুর্বৃত্তদের লোপুপ দৃষ্টি পড়েছে। একের পর এক ছাত্র-শিক্ষকদের বরখাস্তে মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দান-অনুদান প্রদানকারীরা। দীর্ঘ ৮০ বছরের প্রাচীণ ঐতিহ্যবাহী মাদরাসাটি এখন ধ্বংসের ধারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এম ফখরুল ইসলাম নামে ওই আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে মাদরাসাটি যেদিন থেকে দখল করা হয়েছে সে দিন থেকে মাদরাসায় অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের দুটি গ্রুপ বর্তমানে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা না হলে বড় ধরণের বিপদের আশংকা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তারা আরও বলেন, তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ফ্যাক আইডি থেকে বিষোদগার করে অপপ্রচারও চালাচ্ছেন। এতে মাদরাসাটির সুনাম নষ্টের পাশাপাশি ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্ররা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে দাবি করে তারা আরও বলেন, শিক্ষক ও ছাত্ররা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। থানায় জিডিও করা হয়েছে। ভুক্তভোগী
শিক্ষকদের মধ্যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদরাসার মঈনে মুহতামিম মাও. মোজাম্মেল হক। আরও বক্তব্য রাখেন মাদরাসার শিক্ষা সচিব মুফতি এমদাদ উল্যাহ, হিসাব রক্ষক, মাস্টার আবদুস শুক্কুর, মুফতি কেফায়েত উল্যাহ, প্রাক্তন ছাত্র মুফতি মো. এয়াছিন ও নুর হোসাইন। এসময় তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
এ বিষয়য়ে জানতে চাইলে মাদরাসার মুহতামিম শায়খুল আল্লামা নুরুল ইসলাম আদীব মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা। তবে মাদরাসাটি এখন বন্ধ রয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে তিনি মাদরাসা খোলার পর সমাধানের চেষ্টা করবেন।