যশোর প্রতিনিধি: যশোরে পুলিশ পরিচয়ে মঈন উদ্দিন (২৮)নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩১হাজার ৮শ টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন ও ট্যাব ছিনতাই করে নিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২১নভেম্বার) রাত সাতটার দিকে বাঘারপাড়া থানাধীন দাতপুর কেপি ব্রিক্স এর সামনে যশোর-নড়াইল সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মঈন উদ্দিন অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে যশোরের বাঘারপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মঈন উদ্দিন,যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি বাঘারপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন ,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ব্যবসায়ী কাজে যশোর ঝুম ঝুম পুর থেকে মোটরসাইকেল যোগে নড়াইল যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে যশোর-নড়াইল সড়কের বাঘারপাড়া উপজেলা দাঁতপুর গ্রামে কেপি ব্রিক্সের সামনে পৌছায়। এসময় পুলিশের জ্যাকেট পরিহিত হ্যান্ডকাফ সহ অজ্ঞাতনামা ৪ জন তারা পুলিশ পরিচয় ব্যক্তি দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়ালে
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বলেন আপনার নামে থানায় 'অস্ত্র মামলা আছে। আপনি রাস্তার পাশে দাঁড়ান আপনাকে চেক করা হবে। এই বলে পুলিশ পরিচয়দানকারীরা তার মোটরসাইকেল এর সামনে তাকে ঘিরে ধরে এবং জোর পূর্বক পাকা রাস্তার মাঝে নিয়ে যায় এবং ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিনের ঘাড়ে থাকা দুইটি ট্রাবেল ব্যাগ ধরে। তখন অপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ধারালো চাকু দিয়ে তার পেটে আঘাত করতে যায়। তখন জীবন বাঁচাতে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তার ঘারে থাকা দুইটি ট্রাবেল ব্যাগ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ছিনিয়ে নেয়। ঐ সময় অজ্ঞাতনামা চার ব্যক্তি তার ব্যাগ নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নড়াইলের দিয়ে পালিয়ে যাই।
ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, ট্রাবেল ব্যাগের মধ্যে তার ৩১ হাজার ৮শ টাকা, ২ টি স্মার্ট ফোন, ১টি ট্যাব ও ৩ টি বাটন ফোন ছিলো।তখন ডাক-চিৎকারে স্থানীয় আবু তাহেরসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোরে নিয়ে আসেন। বিষয়টি পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আলোচনা করে থানায় অভিযোগ বাঘারপাড়া থানায় শুক্রবার রাতে তিনি লিখিত অভিযোগ দেন।মঈন উদ্দিনের যশোর শহর তেলে ঝুমঝুমপুর বর্ডার গার্ড স্কুল রোডে একটি মোবাইল ব্যাংকিং এর দোকান রয়েছে। তিনি সেখানে বসে লাগছিল মোবাইল ব্যাংকিং সহ অন্যান্য ব্যবসা করেন।
এই ঘটনায় যশোরের বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আলীম সাংবাদিকদের বলেছেন, অভিযোগ পেয়েছি দ্রুত পুলিশের বিষয়ে কাজ করছে।