কফিল উদ্দিন মজুমদার, ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধিঃ ফেনীর ছাগলনাইয়ায় অবৈধ সিএনজি অটো-রিক্সা আটকের মামলা দিতেই হামলার শিকার হয়েছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মনিরুল আলম (৪০) , এএসআই নজরুল ইসলাম (৪০) ও কনষ্টেবল ফখরুল ইসলাম (৪২) ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ছাগলনাইয়া উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের থানা রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে ছাগলনাইয়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট সিএনজি অটো-রিক্সা চালকরা ঢাকা-চট্রগ্রাম পুরাতন মহাসড়কে বিক্ষোভ করে। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
পুলিশের দাবি অবৈধ সিএনজি অটো-রিক্সা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে পুরো ফেনী জেলায় বিশেষ অভিযান চলছে। অভিযানের অংশ হিসেবে ছাগলনাইয়া উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের থানা রাস্তার মাথায় অস্থায়ী চেক পোস্ট বসিয়ে কয়েকটি সিএনজি অটো-রিক্সা আটক করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিএনজি অটো-রিক্সা চালকরা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং যানবাহন আটক করার রশিদ ছিঁড়ে ফেলে।
এব্যাপারে সার্জেন্ট মনিরুল আলম বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় অত্র থানাধীন রুবেল ও আজিম এবং ফুলগাজী থানাধীন আমজাদ হোসেন ও মোঃ মোস্তফাসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ মামলার ১নং আসামি ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর বল্লভপুর গ্রামের গাজী মিয়ার ছেলে রুবেল (৩০) নামের এক সিএনজি অটো-রিক্সা চালককে আটক করেছে।
সিএনজি অটো-রিক্সা চালকরা জানান, টাকা জমা দেয়া থেকে শুরু করে সরকারী সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পরও তারা তাদের সিএনজি অটো-রিক্সা রেজিষ্ট্রেশন করতে না পেরে প্রতিনিয়ত মামলাসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
ছাগলনাইয়া উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি মুন্সি শহিদ উল্যাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক ও পৌর শ্রমিকদল আহবায়ক নুরুল আলম হোনামিয়া সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবৈধ গাড়ীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছিলাম। পরিকল্পতিভাবে ২০-২৫জন লোক এসে আমাদের উপর হামলা চালায়।
ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এজাহার নামীয় রুবেল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।