শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: শেখ হাসিনা বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনা পালায় না'। আপনি শেখের বেটি আপনি পালাবেন না বলেছিলেন, আপনি তো পালিয়েছেন তাহলে আপনি শেখের বেটি না, হিন্দুস্থানের নরেন্দ্র মোদীর বেটি। আপনি বর্ডারের কাছাকাছি আছেন, নেতাকর্মীদের বলেছেন যে কোন সময় চট করে ডুকে পড়বেন। আপনি আসুন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতাসহ আঠারো কোটি জনগণ আপনাকে ফট করে ধরে কাশিমপুর কারাগারে ঢুকাবো। তারপর জামায়াতের সাবেক আমীর শহীদ মাও মতিউর রহমান নিজামীকে যে মঞ্চে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন আমরাও আপনাকে সে মঞ্চে ফাঁসিতে ঝুলাবো। ৫৭ জন বিডিআর অফিসারদের হত্যার মাস্টারমাইন্ড এই খুনি হাসিনা। এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ২৭টি হত্যা মামলা হয়েছে। তার বিচার এ বাংলার মাটিতেই হবে।
আজ আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ডক্টর ইউনুসের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে আপনারা কঠোরভাবে প্রতিবাদ করবেন। এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০তম দিনে দেশের যে পরিবর্তন এনেছেন তা নির্বাচিত কোনো সরকারের পক্ষে কখনো সম্ভব হয়নি। আমি নিজেও দুই বারের নির্বাচিত এমপি ছিলাম।
২৪'র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণসভায় বাঁশখালীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের প্রেমবাজার চত্বরে ২৪'র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণসভা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ জননেতা মরহুম মাও মুমিনুল হক চৌধুরীসহ সকল শহীদদের ম্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক। উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা আরিফ উল্লাহর সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা সোলাইমান বিন তাহের, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহমান, শ্রমিক ফেডারেশন নেতা মাওলানা জুবায়ের আহমদ, আবুল কাশেম সোহাগ, ছাত্রনেতা এম. আমিনুল ইসলাম মুকুল প্রমূখ।