একে মিলন, সুনামগঞ্জ: ছিল না আগের মতো কোনো মন্ত্রী, সংসদ সদস্য কিংবা প্রভাবশালী নেতাদের অনৈতিক চাপ। তাই স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং জবাবদিহিতার মধ্যে সম্পন্ন করা গেছে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর এভাবেই সুনামগঞ্জে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেলেন ৭২ জন। এদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, অন্য ৬ জন নারী। এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীতে আরও ১ জন নারী পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ফলাফল ঘোষণা শেষে নির্বাচিত ৭২ জনকে ফুল দিয়ে পুলিশ বাহিনীতে স্বাগত জানিয়ে বরণ করেন জেলা পুলিশের আহবানে সুনামগঞ্জের কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার আ.ফ.ম. আনোয়ার হোসেন খান পিপিএম৷সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাকির হোসেন৷সভায় ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, ডি আই ওয়ান মো: আজিজুল সহ পুলিশ কর্মকর্তার কর্মচারী ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী নেতৃবৃন্দরা৷
পুলিশ নিয়োগ বাছাইয়ে অংশ নেন ২৫১০জন৷এর মাঝে লিখিত পরীক্ষায় ২৪৪১জনের মধ্যে ৫৭৪ জন উত্তীর্ণ হলে এদের মধ্যে ২০৩ জন ভাইবায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭২ জন৷ওয়েটিংয়ে রয়েছেন ১৩ জন৷মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২ জন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ১ জন৷ তাছাড়াও ৬ জন মেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন৷জেলা কোটায় ৭২ জন পরিপূর্ণ হয়েছে৷
নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণ তলা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ছেলে খান মো: সামী, জামালগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মামলাবাজ গ্রামের কাঠ মিস্ত্রীর মেয়ে সর্মিলা আক্তার, কৃষক কন্যা ফারহানা, শাল্লা উপজেলার স্কুল শিক্ষকের ছেলে সাইফুল্লা মিয়া সহ আরো অনেকেই৷