সোহেল তালুকদার, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজান চৌধুরী বলেছেন, সারা দেশে বিএনপির অগণিত নেতা, কর্মী ও সমর্থক রয়েছেন, যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনার শত নির্যাতন শিকার করেও দলবদল বা জাতীয়তাবাদের রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাননি। আসন্ন সকল কমিটিতে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। বিএনপিতে লোকের এতো আকাল পড়েনি যে, হাওলাত করে কর্মী আনতে হবে। বিএনপি হাওলাত করে কোনো কর্মী আনবে না, দলের প্রকৃত ত্যাগীরাই মূল্যায়ন পাবেন। আওয়ামী দোসররা এই কমিটিতে স্থান পাবেন না।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলা পরিষদ চত্বরের ঝিলমিল অডিটোরিয়ামে এ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামীলীগ সরকার গণতন্ত্র হত্যাকারী লুটেরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ হচ্ছে হত্যাকারী, দুর্সীতিবাজ, লুটেরা। তারা ক্ষমতায় এসে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। শুধু গণতন্ত্রই হত্যা করেনি, তারা বাংলাদেশটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করে দিয়েছে। খুনি হাসিনা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ ও আমাদের বিএনপির শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তাই আজকের এই সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করবো, যত দ্রুত সম্ভব গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করে গণহত্যার দায়ে ফাঁসি দিতে হবে। যেসব পুলিশ আমার ভাইয়ের উপর গুলি করেছে, যেসব কর্মকর্তারা ভোট ডাকাতিতে সহায়তা করেছে, যারা মিথ্যা রায় দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে জেল, জুলুম ও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে তাদেরও বিচার করতে হবে। যারা খুনি, দুর্নীতিবাজ এদের কেউই বিচারের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। বাংলাদেশের মাটিতেই এদের বিচার হবে।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুত তারেক রহমানের উপর থেকে সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এবং তাঁকে দেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে এবং আগামীতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনও তাঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা মনে করি, অতি দ্রুত তারেক রহমানে বীরের বেশে এদেশে ফিরে আসবেন।
কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন- সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, যারা কমিটিতে স্থান পেতে আগ্রহী তারা আগামী ৮ ও ৯ তারিখ আহবায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক পদের জন্য জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। ১১ তারিখ ফরম জমা দিতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে উপজেলা বিএনপির ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। যিনি আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হবেন তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. নুরুল ইসলাম নুরুলের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. মল্লিক মঈন উদ্দিন সুহেল, নাদের আহমদ, আনছার উদ্দিন, ফারুক আহমদ, আকবর আলী, এড. শেরে নূর আলী, রেজাউল হক, সেলিম উদ্দিন আহমদ, আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মুকিত, মোনাজ্জির হোসেন সুজন, নূর আলী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম হেলাল, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপি নেতা জালাল উদ্দিন, আউয়াল উদ্দিন, ইলিয়াছ মিয়া, লুৎফুর রহমান, আমিনুর রশিদ আমিন, আওলাদ হোসেন, ফরিদুর রহমান ফরিদ, মোজাহিদ আলী, নিজাম উদ্দিন, সিরাজ মিয়া, সলিব নূর বাচ্ছু, আসাদুজ্জামান আসাদ, তোফায়েল আহমদ, আবুল কাশেম নাইম, আবদাল মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, নাজমুল হোসাইন, লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন, সাইকুল ইসলাম, ছেরাগ আলী ও দুবাই কারাবরণকারী নেতা আলী আহমদ।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা সৈয়দ আহমদ, ফজলুর রহমান, শামছুদ্দিন, ফখর উদ্দিন কনু শাহ, সামছুন নূর মেম্বার, উপজেলা বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, খলিলুর রহমান খলিল মেম্বার, আঙ্গুর মিয়া, হুমায়ুন কবির, জুসেল আহমদ, উপজেলা ওলামাদলের সভাপতি সজীব আহমদ, দরগাপাশা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাফরুল হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদল নেতা অজিত দাস, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক ফরমান উদ্দিন, যুবদল নেতা ফরিদ গাজী, জিলানী মিয়া, সেচ্ছাসেবক দল নেতা হোসাইন আহমদ, উপজেলা কৃষকদল নেতা ফারুক আহমদ, ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান, জসিম উদ্দিন, গোলাম রব্বানী, ইউপি সদস্য লিটন মিয়া, মিজানুর রহমান, হারুন মিয়া, শাহীনুল ইসলাম, জুনু মিয়া, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক সুহেল মিয়া, জয়কলস ইউনিয়ন যুবদল নেতা আশরাফ উদ্দিন, দরগাপাশা যুবদল নেতা শ্যামল চৌধুরী ও প্রজন্মদল নেতা রোমান আহমদ।
এসময় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামা দল, কৃষক দল, প্রজন্মদল ও ছাত্রদলের আরও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।