ঢাকা
১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৮:১১
logo
প্রকাশিত : ডিসেম্বর ৭, ২০২৪

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি ইটভাটায়, ঝুঁকিতে ছয় গ্রামের মানুষ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ সংলগ্ন স্থানে নাশির সিকদারসহ ছয়জনে মেসার্স এমএবি নামক ইটভাটা নির্মাণ করেছেন। গত ১৫ দিন পুর্বে ওই ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছেন তারা। শুরুতেই তারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কান্টি সাইটের মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে গেছে। একে ঝুঁকিতে রয়েছে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ছয় গ্রামের মানুষ। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ সংলগ্ন স্থানে মেসার্স এমএবি নামক ইটভাটা নিমার্ণ করেছেন। ইটভাটার মালিকরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধের কান্টি সাইটের মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। এতে বাঁধ নড়বনে হয়ে পরেছে বলে জানান স্থানীয়রা। ভয়াবহ হুমকিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নের কলাগাছিয়া, হরিদ্রাবাড়িয়া, ক্লাব, মধ্য কলাগাছিয়া, দোয়াচারা ও ষোলহাওলাদার এ ছয় গ্রামের মানুষ। প্রাকৃতিক জ্বলোচ্ছাস হলে বঁাধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে মানুষ ও প্রাণীকুলের বেশ ক্ষতি হবে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। দ্রুত ওই বাঁধ সংস্কার করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে এমএবি ইটভাটার মালিকরা কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছেন। এতে মারাত্মক আকারে হুমকির মুখে পরেছে পরিবেশ।

গুলিশাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাজ্জাক প্যাদা বলেন, বঁাধের মাটি কেটে নেয়ায় আমরা খুব ঝঁুকিতে আছি। যারা এমন কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।

গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি রফিক বিশ্বাস বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি কেটে নেয়া ঠিক হয়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে বঁাধ ভেঙ্গে এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে।

গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড, এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধের মাটি কাটায় ঝঁুকিতে পরেছে ইউনিয়নের ছয় গ্রামের মানুষ। প্রাকৃতিক দুযোর্গ হলে বঁাধ ভেঙ্গে এলাকা তলিয়ে যাবে।

মেসার্ম এমএবি ইটভাটার মালিক নাশির সিকদার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধের মাটি কেটে নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে মাটি স্তুপ করে রেখেছি। ওই মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুল হক সুজন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনই খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, ওই স্থানে লোক পাঠিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি কোন মতেই কেটে নেয়া যাবে না। কেউ যদি কেটে থাকেন খোজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram