সাব্বির হোসেন, বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল মৌচাকে ১০ টাকার অটো ভাড়াকে ১৫ টাকা দাবী করায় অটো চালকের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন সাতপাড়িয়া গ্রামের যাত্রী সাজিদ তালুকদার (৫৫)। একপর্যায়ে সাতপাড়িয়া গ্রাম ও কবিরপুর গ্রামের চারশত থেকে পাঁচশত উত্তেজিত জনতা মারামারিতে লিপ্ত হন।
সাড়ে দশটা (১০:৩০) থেকে শুরু হওয়া মারামারি দেড়টায় (০১:৩০) শেষ হয় বাহুবল মডেল থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে। টানা চার ঘন্টা মারামারিতে দুই গ্রামের আহত হন আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০ জন। ৭টি দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ৯টি দোকান লুটপাট করা হয়। এতে করে আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালামের নেতৃত্ব ৩টি ইউনিট (বাহুবল, শায়েস্তাগঞ্জ ও হবিগঞ্জ) যৌথভাবে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। তবে আগুন লাগা দোকানগুলোর অবশিষ্ট ছিল না কোনো কিছু।
কবিরপুর গ্রামের মোদি দোকানদার আব্দুস সোবহান জানান, জানি না কে কে ঝগড়া করছে তবে হঠাৎ একদল মানুষ এসে আমাকে মারধর করে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে করে আমার দোকান পুরাপুরি ছাই হয়ে যায়। আমাকে ওরা রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে, আমার জীবিকা নির্বাহের একমাত্র রাস্তা ছিল এই দোকান।
শাহজালাল পোল্ট্রির মালিক এনামুল হক জানান, আমার বাড়ি শোয়াইয়া গ্রামে আমাদের সাথে কারো ঝামেলা নায়, তারপরেও কবিরপুর গ্রামের লোকজন আমার দোকান ভেঙ্গে ৩০০ বস্তা ফিড নিয়ে যায়। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহুবল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জানান, দুই গ্রামের মধ্যে মারামারিতে উভয় পক্ষের শতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে মারামারি নিয়ন্ত্রণে আসে।