হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পিকআপ ভ্যান থামিয়ে ৫৩ বস্তা সার লুট করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুত্তি চলছে।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বড়খাতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৭বস্তা সার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় এই লুটের ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও রমনীগঞ্জ এলাকার আবু তালেবের পুত্র রাশেদুল ইসলাম সবুজ এবং একই এলাকার পশ্চিম সারডুবী গ্রামের আলিবর আলীর পুত্র ও ছাত্রদল নেতা শরিফুল ইসলাম সবুজ।
জানা গেছে, পার্শ্ববতী পাটগ্রাম উপজেলার থানা পাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট এলাকার শাহজাহান নামে এক সার ব্যবসায়ীর কাছে অবৈধ ভাবে ৮০ বস্তা বিভিন্ন সার বিক্রি করেন। সেই সার গুলো নিয়ে একটি পিকআপ যোগে পাটগ্রাম থেকে কালীগঞ্জ যাওয়ার পথে হাতীবান্ধার বড়খাতা দোয়ানী মোড় এলাকায় রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলাম সবুজসহ আরও কয়েকজন গাড়ী থেকে ৫৩ বস্তা সার লুট করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। সেই অভিযানে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সবুজের বাড়ি থেকে ১১ বস্তা ও তার দেয়া তথ্যমতে আরো ৩৬ বস্তাসহ মোট ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রুবেল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ নোমান বলেন, লোকমুখে শুনেছেন মাত্র। খোঁজখবর নিয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকের সাথে কথা বলা হবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন-নবী বলেন, লুট হওয়ার ৫৩ বস্তা সারের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়েছে। শরিফুল ইসলাম সবুজ ও রাশেদুল ইসলাম সবুজ নামে ওই ব্যক্তি এ লুটের সাথে জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছি। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশকে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।