সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিশ্বমনি দাস (২৫) নামের নারী শ্রমিকের হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রনজিত সাঁওতাল (২১) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাজঘাট ইউপির অন্তর্গত উদনাছড়া চা বাগানস্থ ৮নং বস্তি শংকর সাওতালের পুত্র রনজিত সাঁওতাল কে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলে সে এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, রনজিতের সাথে একই এলাকার মৃত লক্ষীন্দর দাসের মেয়ে ভিকটিম বিশ্বমনি দাসের প্রেমের সর্ম্পক ছিল এবং তাদের শারীরিক মেলামেশায় বিশ্বমনি দান অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বার) ভিকটিম নিরালা পান পুঞ্জিতে শ্রমিকের কাজ শেষ করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় কয়েকজন সহকর্মীর সাথে। পথিমধ্যে রনজিত কে দেখে অন্য সহর্কীদের বাথরুমে যাবে বলে তাদের বিদায় করে দেয় এবং পিছনে আরো অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে ফিরে আসবে বলে জানায়। ভিকটিম বিশ্বমনি রনজিত কে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় এবং বলে বিয়ে না করলে তার সাথে থাকা বিষ খেয়ে সে আত্মহত্যা করবে। তখন সে তার প্রেমিকার কথা না শুনে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রেমিকা বিশ্বমনি তার সাথে থাকা বিষ পান করে ঘটনাস্থলে ছটফট করতে থাকে। তখন কোন এক ব্যক্তি ওই রাস্তার দিকে আসতে দেখে রনজিত প্রমাণ লুকানোর জন্য ভিকটিমের ওড়না গলায় পেছিয়ে শক্ত করে বেধে চা গাছের নীচে নিয়ে যায় এবং শরীর নিস্তেজ হওয়ার পর ওড়নার অপর অংশ চা গাছে বেধে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার ভিকটিম কাজ থেকে ঐ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর ভিকটিম বাড়ীতে ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরবর্তীতে বাদীর পরিবারের লোকজন মিলে ভিকটিমকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে শনিবার সকালে তার লাশ শ্রীমঙ্গল থানাধীন ৭নং রাজঘাট ইউপির অন্তর্গত উদনাছড়া চা বাগানের ১১নং সেকশনের বাগানের ভিতরে চারা কড়ই গাছের নীচে বাদীর বোনের মৃতদেহ গলায় তার পড়নের ওড়না দিয়া গলায় শক্ত গিট দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান এবং পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।