ইবি প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা 'রেজিস্ট্যান্স উইক' কর্মসূচি উপলক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে তারা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'খুনি' আখ্যা দিয়ে তার বিচারসহ মোট চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের প্রথম দাবিটি হলো—ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তাঁর দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবিটি হলো—সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে। তৃতীয় দাবিটি হচ্ছে—প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা ও হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছেন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছেন, তাঁদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং চার নাম্বার দাবিটি হচ্ছে—প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা এত দিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাঁদের সবার জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
বিক্ষোভে 'আমার ভাই কবরে, খুনিরা কেন বাহিরে', 'ইবি ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্রলীগের ঠিকানা', 'সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও'—সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলন ও হাজারও ভাই-বোনদের রক্তের বিনিময়ে চব্বিশে নতুন স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। চব্বিশের পরাজিত শক্তিরা এই স্বাধীনতাকে ধূলিসাৎ করার পায়তারা করছে। ১৫ আগস্টকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে কুচক্রী মহল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ফন্দি করছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, আমাদের লড়াই সংগ্রাম এখনও থেমে যায়নি। যারা পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে তাদেরকে শিক্ষার্থীসমাজ কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।