২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে লটারির মাধ্যমে। আর আবেদনও করতে হবে অনলাইনে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিকের ভর্তি নীতিমালা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া ১২ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।
আবেদন শেষে ১২ ডিসেম্বর লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে। ভর্তির আবেদন শুধু https://gsa.teletalk.com.bd এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে।
মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, ‘আগামী শিক্ষাবর্ষে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আবেদনও করতে হবে অনলাইনে। আমরা এখন বিদ্যালয়গুলো থেকে শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ করছি। প্রতি শ্রেণি শাখায় ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
সূত্র জানায়, সারা দেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবেন। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবেন। ডাবল শিফট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
টিউশন ফির নীতিমালা : বেসরকারি স্কুল-কলেজে লাগামছাড়া টিউশন ফি আদায় ঠেকাতে নতুন নীতিমালা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মহানগরে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি নির্ধারণ কমিটির প্রধান হবেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি/সার্বিক)। তা ছাড়া এ কমিটিতে ডিসির প্রতিনিধি, মাউশির আঞ্চলিক উপ-পরিচালকসহ ১০ জন সদস্য থাকবেন।