রাতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ চড়াও হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবন ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ এসেছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে এ হামলার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তায় নামেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক ফেসবুকে একটি পোস্ট করার পরই ক্যাম্পাসে সক্রিয় হয় দলটির নেতাকর্মীরা। এর পর রাতে ফরহাদ হলে ফেরার পথে তাকে মারধোর করা হয়।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিকেলে কলা ভবনের সামনে অবস্থান করছিল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় মোটরসাইকেলে করে সেখানে যায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পাসহ আরও ২৫ জন নেতাকর্মী। এই ঘটনায় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।