ঢাবি প্রতিনিধি: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান, গণহত্যার স্বপক্ষে সম্মতি উৎপাদন এবং অনান্য নানা গুরুতর অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের তিন শিক্ষকের অব্যাহতির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
অভিযুক্তরা হলেন- বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক গোলাম মাওলা, অধ্যাপক মাহমুদুল ইসলাম এবং সহযোগী অধ্যাপক হোসাইনুল বান্না।
শিক্ষার্থীরা জানান, পাঁচ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে এসব শিক্ষকের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়াও তাদের বিরূদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, প্লেজিয়ারিজম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের শাস্তি এড়িয়ে যাওয়া, রেজাল্ট টেম্পারিং এবং নিয়োগ সিন্ডিকেট এর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত গোলাম মাওলা ও মাহমুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগও আছে।
বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে যেসকল শিক্ষক অবস্থান করছে তাদেরকে আমরা শিক্ষক হিসেবে মানি না। তারা শিক্ষকের মর্যাদা হারিয়েছেন। এ সকল শিক্ষকরা বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করতো। এমনকি আমাদের পোশাক নিয়েও কথা বলতো।
আরেক শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে। আমরা কোন অবস্থানে আছি চেয়ারম্যান স্যার কোন খোঁজ নেননি। এছাড়াও ক্লাসের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হতো। গোলাম মাওলা ও মাহমুদুল ইসলাম মেয়েদের ড্রেস নিয়েও কথা বলতো। কেউ যদি খুব পর্দা করে আসতো তাকে নানাভাবে হয়রানি করতো।