সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির সভাপতিকে অপসারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনওরা। গতকাল মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসকের মনোনীত প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মহানগর এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার বা বিভাগীয় কমিশনারের মনোনীত প্রতিনিধিকে সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা, ২০২৪-এর ৬৮ অনুযায়ী এই নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
সংশ্লিষ্ট প্রবিধানমালার ৬৮-এর উপধারা (১)-এ বলা হয়েছে, এই প্রবিধানমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার জাতীয় পর্যায়ে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি, ম্যানেজিং কমিটি, নির্বাহী কমিটি, অ্যাডহক কমিটি বা বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিটির সভাপতি পদে থাকা ব্যক্তিদের সরিয়ে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি পদে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিতে পারবে।
উপধারা (২)-এ বলা হয়েছে, উপধারা-১-এর অধীনে নিযুক্ত সভাপতি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড বা কমিটির বিদ্যমান সদস্যদের সমন্বয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
অথবা অ্যাডহক কমিটির মতো সংক্ষিপ্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্ত শিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে বর্তমান সভাপতিরা আর দায়িত্বে থাকলেন না। এখন এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ড থেকেও একটি নির্দেশনা জারি করা হবে। সেখানে পুরো কমিটিই ভেঙে দেওয়া হবে।
অর্থাৎ বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনওদের সভাপতি করে নতুন কমিটি করা হবে।