ইবি প্রতিনিধি: পোস্ট-পজিশন নিয়ে শিক্ষকদের লালায়িত না হওয়ার আহ্বান করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
তিনি বলেন, পোস্ট-পজিশন এগুলো অটোমেটিক্যালি আসে। শিক্ষকরা, আপনারা এজন্য লালায়িত হবেন না, আপনাদের লক্ষ্য থাকবে একজন ভালো শিক্ষক, ভালো প্রফেসর হওয়ার। শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদের যদি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক না হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারবে না।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ে এ এস এম (আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি) স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, ইবি'র উদ্বোধন এবং মাইক্রোবায়োলজি কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। দুপুর ১২টায় পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
উপাচার্য বলেন, আমি চেষ্টা করব এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা রিসার্চ করবেন, জার্নাল পাবলিকেশন্স করবেন তাঁদের ইনসেনটিভ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে তিনি ছাত্র এবং শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এসময় ক্লাস টাইমে শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে আড্ডা দিচ্ছেন এমনটি দেখতে চান না বলে জানান উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তার ভাষ্য, ক্লাস টাইমে সমস্ত ক্যাম্পাস ফাঁকা থাকবে, সব শিক্ষার্থী থাকবে ক্লাসে। এটাই তার স্বপ্ন। এটাই তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে চান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম। এ এস এম কান্ট্রি ডিরেক্টর, বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিন্নাতুল করিমের সভাপতিত্বে সেখানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এ এস এম বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন এ এস এম স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, ইবি'র প্রেসিডেন্ট শোভন সাহা। মাইক্রোবায়োলজি কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও অতিথিদের ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়।