ঢাকা
১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৭:৩২
logo
প্রকাশিত : জুলাই ১৫, ২০২৪
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২৪
প্রকাশিত : জুলাই ১৫, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাওয়ায় ইবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধি: কোটা সংস্কারের দাবিতে ও প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে যাওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ ইবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে হল কক্ষে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয় বলে জানায় ভুক্তভোগী মাহফুজ উল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এসময় ওই ওই শিক্ষার্থীকে হাফিজ হল থেকে বের হয়ে যাওয়ারও হুমকি দেয় বলে জানায় ভুক্তভোগী।

এই ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার দুপুরে প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মাহফুজ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ৪২০ নং কক্ষে থাকেন।

ভুক্তভোগী মাহফুজ উল হক বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সোহানুর রহমান রুমের সামনে এসে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে যাওয়ার জন্য আমাকে ডাকাডাকি করে। কিছুক্ষণ পর হাফিজ কক্ষের সামনে আসে এবং রবিবার রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে গিয়েছিলাম কি-না জানতে চান। আমি গিয়েছি জানার পর তিনি বলেন, ‘তুই কি রাজাকার? রাজাকার না হলে ওই মিছিলে গেলি কেন?’ তখন আমি তাকে জানাই, ‘আমি রাজাকার হবো কীসের জন্যে? কোনটা ব্যঙ্গার্থক আর কোনটা আসল সেটা তো আপনার বোঝা উচিত।’ এরপর তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে তিনি কক্ষে থাকা ঝাড়ু দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করেন। আরও মারতে উদ্যত হলে আমাকে ডাকতে আসা সোহান এবং সৌরভ তাকে ঠেকান। তবে যাওয়ার সময় তিনি বলে যান, ‘ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম থেকে ফিরে যেন তোকে হলে না দেখি। যদি কেউ কিছু বলে, বলবি আমার নাম হাফিজ। তোর কে আছে দেখবোনে।’

ভুক্তভোগী মাহফুজ উল হক বলেন, আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাকে যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান এবং মারধর ও হুমকি প্রদানের ঘটনায় যথাযথ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হাফিজ। তিনি বলেন, সোয়া ১১টায় আমার প্রোগ্রাম ছিলো। ঘুম থেকে উঠেই আমি প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম। প্রোগ্রামে থাকা অবস্থায় জানতে পারি কেউ আমার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে এমন অভিযোগ তুলেছে। এসবের সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এই ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এগুলো করা হচ্ছে।

প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার জন্য মাহফুজকে ডাকতে যাওয়া ছাত্রলীগকর্মী সোহানুর রহমান বলেন, মাহফুজকে ডেকে পাশের রুমের দিকে গিয়েছিলাম। পরে এসে দেখি সেখানে বিশৃঙ্খল অবস্থা, হাফিজ ভাই চিল্লাচিল্লি করছে। পরে আমি ভাইকে সেখান থেকে নিয়ে আসি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ঘটনাটি শোনার পরপরই আমি হাফিজকে জিজ্ঞাসা করেছি। সে বলছে, ‘আমি কারোর গায়ে হাত উঠাইনি, সিনিয়র-জুনিয়র একটু কথা-কাটাকাটির মতো হয়েছিল।’

এই বিষয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। হলে যারা আছে তারা সবাই ছাত্রলীগ। এই বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে বলে জানিয়েছে। যদি তারা না পারে তখন আমরা বিষয়টি দেখবো।

এই বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু হলের ঘটনা, তাই হল বডি সবচেয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। তারা ব্যর্থ হলে হায়ার বডি হিসেবে আমরা বিষয়টি দেখবো। যাচাই-বাছাই করে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram